মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
আরিফুল ইসলাম আরিফ, ফুলবাড়ী প্রতিনিধিঃ
প্রথম বারের মতো কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীর সুজনের কুটি গ্রামে চাষ হচ্ছে দার্জিলিং ম্যান্ডারিং কমলা। চাষী আবু বক্কর সিদ্দিক কমলা চাষ করে পেয়েছেন সফলতা। কমলার বাগান দেখতে প্রতিদিন আসছেন দর্শনার্থীরা। বাগানের সারিবদ্ধ গাছ আর সেই গাছে থোকায় থোকায় এসেছে কমলা। বেশিরভাগ কমলা পেকেছে।
ভালো ফলন দেখে কমলা চাষে আগ্রহ বাড়ছে অনেকের। ২০২০ সালে নিজ উদ্যোগে ২৮ শতাংশ জমিতে ছেলের মাধ্যমে যশোরের মহেশপুর থেকে কমলার চারা এনে চাষ শুরু করেন। বর্তমানে তার বাগানে ১৩৫টি গাছ রয়েছে। কমলাগুলো বড় আর মিষ্টি ও সুস্বাদু। দার্জিলিং ম্যান্ডারিং কমলা চাষের সব মিলিয়ে দেড় লাখ টাকার মত ব্যয় হলেও প্রতিবছরে দুই থেকে তিন লাখ টাকা আয় হবে বলে জানা গেছে।
কমলার বাগান দেখতে আসা আমিনুল ইসলাম ও আতাউর রহমান মিন্টু জানান, আমরা কমলা বাগান দেখতে এসে অবাক হয়ে গেছি ফুলবাড়ীতে এত ভালো কমলা চাষ হয়েছে, কমলা দেখতে বড় বড় খেতে মিষ্টি ও সুস্বাদু, কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমাণ করলো এ অঞ্চলের মাটি ও কমলা চাষের উপযোগী, আমরা কৃষি বিভাগকে অনুরোধ জানাই এই কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেবার। যাতে করে এই কৃষককে দেখে এই অঞ্চলের কৃষকরা এই কমলা চাষে আগ্রহী হয় হয়ে ওঠে। এতে করে এই অঞ্চলের মানুষের ভিটামিন সি’র ভাব মিটিয়ে এই ফল দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।
কৃষক আবু বকর সিদ্দিক জানান, বাপ দাদার আমল থেকে শুনে আসতেছি আমাদের এই অঞ্চলের মাটিতে নাকি কমলা চাষ হবে না, তাই আমি নিজ উদ্যোগে আমার ছেলের মাধ্যমে চারা নিয়ে এসে জমিতে রোপন করি। নিয়মিত পরিচর্যা করি তিন বছর পর এই প্রথম আমার কমলা বাগানে প্রচুর কমলা ধরেছে । আমার এই কমলার বাগান দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থী ও কৃষক ভাইয়েরা আসছেন ।
আমার কাছে কমলা চাষের পরামর্শ নিচ্ছেন। তবে আমার মত কৃষক কে সরকারিভাবে কৃষি প্রণোদনা দিলে এই অঞ্চলে কমলা চাষের ব্যাপক প্রসার ঘটানো যাবে।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি ফুলবাড়ীতে আবু বক্কর সিদ্দিক নামের এক কৃষক কমলা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। কমলা চাষে কোন প্রকার পরামর্শ ওই কৃষকের লাগলে কৃষি অফিস ওই কৃষককে পরামর্শ দিতে সদা প্রস্তুত।