বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ফেনী ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয় “আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ” কর্তৃক আয়োজিত “আইসিটি অলিম্পিয়াড ফেস্ট”।
শনিবার (৮ই অক্টোবর) ফেনী ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে এই অলিম্পিয়াডটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে লাল ফিতা কেটে রেজিষ্ট্রেশন বুথের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফেনী ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ও ট্রেজারার অধ্যাপক তায়বুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ফেনী ইউনিভার্সিটির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মুহাম্মাদ হারুন আল-রশিদ ও ব্যাবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কাশেম। এছাড়াও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহযোগিতা ব্যবস্থাপক মিনহাজ নাহিন। স্বাগত বক্তব্য দেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ফেনী ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস এম্বাসেডর টিম লিডার কাজী আরাফাতুল ইসলাম ইনসাফ। সঞ্চালনা করেন ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও ক্যাম্পাস এম্বাসেডর আসমা মাহমুদা নওশিন।
ফেনী বিশ্ববিদ্যালয় এম্বাসেডর টিমের লিডার ইনসাফ বলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে ৮৫ মিলিয়ন মানুষ তাঁদের চাকরি হারাবে এবং ৯৭ মিলিয়ন নতুন চাকরি তৈরি হবে শুধুমাত্র আইসিটির কারণে। বাংলাদেশে প্রতিবছর কর্মসংস্থানের জন্য আবেদন করেন ২১ লাখ মানুষ, কর্মসংস্থান আছে ১২.৯৬লাখ, বেকার থাকেন বাকী ৮.০৪ লাখ মানুষ। ILO ‘র তথ্য অনুযায়ী দেশের মোট কর্মক্ষম মানুষের ৫.২% মানুষ বেকার, ১৪.৭% তরুণ তাঁদের কাজ পাচ্ছেনা। এমন অবস্থায় তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার কোনো বিকল্প নেই। তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানার দারুণ সুযোগ নিয়ে এলো আইসিটি অলিম্পিয়াড। আইসিটির ১০টি টপিকে ৬টি ক্যাটাগরিতে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। সকল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন। আগে শিখবেন, তারপর জিতবেন। লাইভ ক্লাস ও রেকোর্ডেড ক্লাসে যা শিখানো হবে তা থেকেই পরীক্ষা হবে।
আইসিটি খাতে বিশ্বমানের জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে থাকে সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই কার্যক্রম শুরু করে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ । ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট ও হুইসেল-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতাতে সারা দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। অলিম্পিয়াডটিতে স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মোট ছয়টি ক্যাটাগরিতে অংশ নিতে পারবেন। প্রতিযোগীদের জন্য সর্বমোট প্রাইজমানি থাকছে ৫০ লাখ টাকা। প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশনের পর থেকে পাঁচ মাস শিক্ষার্থীরা মেন্টরদের মাধ্যমে নিজেদের আইসিটি জ্ঞানকে প্রসারিত করার সুযোগ পাবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই লক্ষ্যে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে থাকছে আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের বুথ।
• Software
• Programming Language
• Web Design
• Communication System & Networking
• AI & Robotics
• Number System
• Hardware
• Block Chain
• Cyber Security
• ICT -gk
• প্রি স্কুল- ২য় শ্রেণি
• ৩য় – ৫ম শ্রেণি
• ৬ষ্ঠ – ৮ম শ্রেণি
• ৯ম -১০ম শ্রেণি
• একাদশ – দ্বাদশ শ্রেণি
• ডিপ্লোমা- অনার্স- মাস্টার্স
অলিম্পিয়াডটি আয়োজিত হয়েছে দুইটি স্টেপে।
ফেনী জেলা “জোন” এ অংশগ্রহন করতে চাইলে,
হেল্পলাইন : +8801852593996
রেজিষ্ট্রেশন ফি : ২০০ টাকা
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশে রেজিষ্ট্রেশন করতে ভিজিট করুন : https://ictolympiadbangladesh.com/
ফেনী লোকেশনের রেফার কোড: 90001968
ictolympiadbangladesh.com