বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
দৈনিন্দন জীবনে চা, কফি খাওয়ার পাশাপাশি গ্রীন টিও আমাদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। গ্রিন টি অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী। হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানো, ক্যানসার প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে গ্রিন টি।
অনেকেই মনে করে থাকেন যে, এটি শুধু ওজন কমাতে খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু ওজন কমানোর সমাধানসহ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও এটি অনেক উপকারী।
জানুন উপকারিতা—
১. শরীরকে সতেজ রাখে
গ্রিন টিতে ফ্লেভোনয়েড নামের একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। আর এটি হচ্ছে— শরীরকে সতেজ রাখে এমন একটি শক্তিশালী উপাদান। তাই গ্রিন টি খেলে শরীর থাকে সতেজ।
২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে গ্রিন টি। এতে কেটেচিন নামের একটি উপাদান থাকে এবং এটি ভিটামিন ই ও সির থেকেও বেশি শক্তিশালী। তাই গ্রিন টি খেলে তা শরীরে প্রবেশ করে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার পাশপাশি বিভিন্ন উপকার করে।
৩. অ্যালার্জিসহ নানা রোগে উপকারী
গ্রিন টি অ্যালার্জির সমস্যা সমাধানে অনেক উপকারী। এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমানো, ক্যানসার প্রতিরোধ, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে গ্রিন টি।
৪. ডিপ্রেশন কমায়
গ্রিন টি অবসাদ বা ডিপ্রেশন কমাতেও অনেক কার্যকরী। এতে থিয়ানিন নামের অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকার কারণে এটি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। তাই ডিপ্রেশন কমাতে নিয়মিত গ্রিন টি খেতে পারেন।
৫. ওজন কমায়
গ্রিন টির সবচেয়ে পরিচিত গুণাবলি হচ্ছে— এটি ওজন কমাতে কার্যকরী। মূলত এটি হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এতে থাকা কেটাচিনও পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে।
৬. দাঁত ভালো রাখে
গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেকাইন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দাঁত ভালো রাখতে অনেক উপকারী। এ উপাদানটি মুখের ভেতরের ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে রোধ করে। ফলে এটি গলার বিভিন্ন সংক্রমণ রোধ করাসহ দাঁত ভালো রাখতে সাহায্য করে।