মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ধর্মীয় শিক্ষায় মেয়েদের জন্য সরকারি মহিলা মাসরাসা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন

ধর্মীয় শিক্ষায় মেয়েদের জন্য সরকারি মহিলা মাসরাসা প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। উন্নতি ও সমৃদ্ধির চাবি কাঠি। শিক্ষা ছাড়া জাতির উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। শিক্ষায় জ্ঞান বিজ্ঞানে যে জাতি যত বেশি অগ্রসর সে জাতি তত বেশি উন্নত। শিক্ষার অবকাঠামো উন্নয়ন উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তর ধারায় এগিয়ে যাওয়ার নিমিত্তে এবং শিক্ষাকে আধুনিক যুগোপযুগি করার লক্ষে ২০১০ সালে প্রণিত হয়েছে জাতিয়ভ শিক্ষা নীতি।

শিক্ষায় অগ্রগতির সূচকে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি লাভ করেছে। ফলে শিক্ষার প্রবৃদ্ধির হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাতে নারিরা এগিয়েছে। পিছিয়ে আছে শুধু মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েরা। শুধু পিছিয়ে উপেক্ষিতও। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে নারি শিক্ষার উন্নয়নে প্রতিটি জেলায় মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

২০১৩ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতিয়করণের মাধ্যমে এক লক্ষ তিন হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারি করণ করেছেন। সর্বশেশ ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রার সাড়ে তিন শতাধিক স্কুল কলেজ জাতিকরণ করেছেন। তাছাড়া সরকারি মহিলা কলেজ, নার্সিং কলেজ ও কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়া এ পর্যন্ত ৩৩ হাজার বেসরকারি স্কুল কলেজ মাদরাসা এমপিওভূক্ত করেছেন।

দুঃখজনক এ যাবৎ পর্যন্ত বেসরকারি কোন মহিলা মাদরাসা জাতীয়করণ হয়নি। যাঁতাকলে পৃষ্ঠ শুধু মাদরাসা পড়ুয়া মেয়েরা। ধর্মীয় শিক্ষায় মেয়েদের জন্য অদূর ভবিষ্যত মহিলা মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। শিক্ষা মৌলিক অধিকার। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষার অধিকার যেন মেয়েদের হয় এটাও যেন নিশ্চিত করা হয়।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম সমাজ আশা করে প্রতিটি উপজেলায় একটি ফাজিল মাদরাসা, জেলা শহরে হোস্টেল সুবিধা সহ একটি কামিল মাদরাসা প্রতিষ্ঠার কার্যকর উদ্যোগ যেন সরকার নেয়।

মুহাম্মদ মনছুর
সভাপতি গহিরা বার আউলিয়া ফাউন্ডেশন, আনোয়ারা, চট্টগ্রাম।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১