শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
রহমত আলী, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধিঃ
চলনবিল অধ্যুষিত নাটোরের গুরুদাসপুরে গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় তুলনামূলক এবছর
আরো বেশি জমিতে পাট চাষ করেছেন উপজেলার চাষীরা। দীর্ঘ ৩-৪ মাস মাথার ঘাম পায়ে ফেলে
অতি যত্ন সহকারে পাট ফলানোর পরে এখন পুরোদমে চলছে পাট ধোঁয়া ও শুকানোর কাজ।
তব এখনো কিছু জমিতে পাট কাটা শেষ হয়নি। এবছর সার, বীজ ও আনুষাঙ্গিক খরচ বৃদ্ধি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে উৎপাদন খরচ অনেকটাই বেড়েছে বলে জানান চাষীরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমি থেকে পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল, ডোবা এমনকি জায়গা ও পানির অভাবে কেউ কেউ জমিতেই সেচ দিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন।
আর জাগ দেয়া সেই পাট থেকে সোনালী আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন কৃষকরা। আবার কোথাও কোথাও নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর কাজ চলছে। এরপরে সেই সোনালী আঁশ রোদে শুকিয়ে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। যেন ব্যস্ততার শেষ নেই। উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, গত মৌসুমে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়।
আর চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। এরমধ্যে তোষা জাতের পাট চাষ হয়েছে ৪ হাজার হেক্টর ও ১৫০ হেক্টর জমিতে দেশী জাতের পাট চাষ করা হয়েছে। উপজেলার খুবজীপুরের পাট চাষী রজিব প্রামানিক বলেন, ৫ বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছেন। নিজ জমিতে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার টাকা। প্রতি বিঘায় গড় ফলন ৭-৮ মণ। বর্তমানে পাটের বাজার মূল্য ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৭০০ টাকা। এমন বাজার থাকলে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর দাম কমে গেলে তো মরার ওপর খাড়ার ঘা।
একই এলাকার আরেক চাষী সেলিম হোসেন বলেন, তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় লিজ সহ প্রায় ২০হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে পাট কেটে ফলন যেমন বেশি হয়েছে তেমনি দাম ও চাহিদা রয়েছে বেশ ভালো। বিঘা প্রতি গড়ে ১০ মণের বেশি ফলন হবে। অপরদিকে চলতি মৌসুমে প্রথমে যারা পাট কেটেছেন তাদের যেমন ফলন কম হয়েছে তেমনি দামও কম ছিলো।
উপজেলার কৃষি অফিসার মো. হারুনর রশীদ জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে পাট চাষীদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রণোদনা ও ভর্তুকী কৃষকদের মাঝে দেওয়া হয়েছে। গত বছর পাটের ভালো দাম পাওয়ায় এবছর বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
নাটোরে চাঁদা না দেওয়ায় ঠিকাদারকে কুপিয়ে জখম