শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

বরিশাল শেবাচিমে ঝুলছে ‘পাকিস্তানি’ সাইনবোর্ড

গাজী আরিফুর রহমান, বরিশাল প্রতিনিধিঃ

দেশ স্বাধীন হয়েছে পঞ্চাশ বছর হলো। দেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করেছে। স্বাধীন দেশে এখনো ‘গভ. অফ ইস্ট পাকিস্তান’ লেখা সর্তকীকরণ সাইনবোর্ড ঝুলছে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ( শেবাচিম ) বিদ্যুৎ সরবরাহের বাসবার ট্রাকিং সিস্টেমের বোর্ডে সাইনবোর্ড ঝুলছে।

১৯৬৪ সালের ৬ নভেম্বর থেকে বরিশাল শের-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে এতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। স্থাপনকালীন এর নাম ছিল বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ। যা পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে শের-ই-বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের নামে নামকরণ করা হয়।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, পঞ্চতলার ভবনের চারটি সিড়ি রয়েছে। প্রত্যেকটি সিঁড়ির পাতলা পর্যন্ত ৫টি করে মোট ২১টি প্যানেল বোর্ড রয়েছে। এর মধ্যে ১১টি প্যানেল বোর্ডের সাইনবোর্ডে গভ. ইস্ট পাকিস্তন লেখা রয়েছে। চারটি প্যানেল বোর্ডে কোনো সাইবোর্ড নেই। ৬টিতে সাদা রং দিয়ে মুছে ফেলা হয়েছে।

সাদা বোর্ডের ওপর লাল রঙ দিয়ে লেখা সাইন বোর্ডের নিচে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস’ এবং ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের পোস্টার লাগানো হলেও বিষয়টি কারো নজরে আসেনি। বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের পোস্টারের উপরে রয়েছে গভ. অফ ইস্ট পাকিস্তান লেখা সতর্কীকরণ বোর্ডটি।

হাসপাতালে আসা রোগীর স্বজন নগরীর বাধ রোডের বাসিন্দা সাগর গভ. অফ ইস্ট পাকিস্তান লেখা বোর্ড দেখতে পেয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের সাইনবোর্ড এখনো থাকতে পারে বিশ্বাস হচ্ছে না। বিষয়টি হাসপাতালের খেয়াল করা উচিত ছিল।

মহিউদ্দিন মানিক বীর প্রতীক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তি‌নি বলেন, সাইনবোর্ড অপসারণের জন্য সবাইকে বলেছি। এ পর্যন্ত চারবার পরিচালক পরিবর্তন হলেও গভ. অফ ইস্ট পাকিস্তান লেখা সাইনবোর্ডটি পরিবর্তন করা হয়নি। এমন‌কি আইন-শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি তোলা হয়েছে।

এবিষয়ে হাসপাতাল সংস্কার ও মেরামতসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনাকারী গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. ফিরোজ বলেন, সাবস্টেশন থেকে পাওয়ার বাসবার ট্রাকিং সিস্টেম বোর্ডে দেওয়া হয়।

সেখান থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এ জন্য এটা বিপদজনক। তাই সাইনবোর্ড লাগানো রয়েছে। সাইনবোর্ডে ইস্ট পাকিস্তান লেখা রয়েছে কিনা খেয়াল করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালের পরিচালক এসএম সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দেখতেছি। এর বে‌শি কিছু বল‌তে তি‌নি নারাজ।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১