রবিবার, ৪ মে ২০২৫
হুমায়ুন কবীর রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহী নগরীতে নারী দিয়ে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসিয়ে অপহরণ ও অর্থ আদায় চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় আসামিদের থেকে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া টাকার মধ্য থেকে আড়াই হাজার টাকা, ১ টি চাকু ও ছিনিয়ে নেয়া ১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার মধুরডাঙ্গা ও চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনী বৌ-বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের মধ্যে দুই জন নারী সদস্য রয়েছেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- সিহাবুল ইসলাম শিলু (২১) ও তার স্ত্রী আসমা আফিয়া ওরফে অহনা ওরফে অধরা (২১), স্বাধীন (২১), সাগর আলী (২২), মেহেদী হাসান মিম (২১) এবং প্রিয়া আক্তার মায়া ওরফে টুসু (১৯)। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইয়ের শিকার যুবকের সঙ্গে ৫ মাস পূর্বে আসামি অহনার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মোবাইলে ও ম্যাসেঞ্জারে তাদের কথা হতো। কিছু দিন পর অহনার সাথে ওই যুবক নগরীর বন্ধ গেটে দেখা হয়। সেখানে অহনার বান্ধবী মায়ার সাথেও তার পরিচয় হয়।
২০ জুলাই অহনা তার বান্ধবী মায়ার মোবাইল ফোন থেকে ইকবালকে চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেখা করার জন্য আসতে বলে। ওই যুবক সরল বিশ্বাসে রাত সাড়ে ৯ টায় শিরোইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে আসে। সেখানে অহনা ও তার বান্ধবী মায়ার সাথে দেখা হয়। তাদের সাথে কথা বলার সময় আসামিরা হাতে লোহার রড, জিআই পাইপ, চাকুসহ ওই যুবককে ধরে জোরপূর্বক স্কুলের মাঠে নিয়ে যায়।
সেখানে এলোপাথাড়ি চার-থাপ্পড়, কিলঘুসি মারে এবং চাকুর ভয় দেখিয়ে তার পকেটে থাকা নগদ ৩৭ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
নগ্ন ছবি তুলে ৫ লক্ষ টাকার জন্য পরিবারের লোককে চাপ দিলে তার এক বন্ধুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয় এবং আসামিরা নিজেরাই সে টাকা উঠিয়ে নেয়। এছাড়া এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান নির্ণয় করে গ্রেপ্তার করেন। রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে একজন পালিয়ে যায়। তাকেও গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।