শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫

সারা বিশ্বে ৬ হাজারে বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী

মাঙ্কিপক্সের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে এ যাবত ৫৮টি দেশের ছয় হাজারের বেশি রোগী তাতে শনাক্ত হয়েছে। বুধবার (৬ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এমন খবর দিয়েছে।
বিশ্বে ৬ হাজারে বেশি মাঙ্কিপক্স রোগী

সংস্থাটির যে কমিটি ‘বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পরামর্শ দেয়, আগামী ১৮ জুলাই কিংবা তারও আগে সেই কমিটির একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাসচিব টেড্রোস আধানম গেবরিয়াসুস এমন তথ্য দিয়েছেন।

এরআগে গেল ২৭ জুন একটি বৈঠক হয়েছে। তাতে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনও ‘স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণার’ পর্যায়ে আসেনি বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আফ্রিকা অঞ্চলে এটি একটি স্থানীয় রোগ হলেও বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ছে।

টেড্রোস আধানম বলেন, যে মাত্রায় ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে আমি অব্যাহত উদ্বেগ প্রকাশ করছি। যদি নমুনা পরীক্ষায় ঘাটতি থাকে, তবে অজ্ঞাতে রোগটি আরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারবে।

বর্তমান আক্রান্তের আশি শতাংশই ইউরোপের ভেতরে। মহামারির প্রাদুর্ভাব ঘটলে ডব্লিউএইচওর সর্বোচ্চ সতর্কতা হলো আন্তর্জাতিকভাবে ‘জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা’। বিশ্বের শীর্ষ স্বাস্থ্য সংস্থাটি সাধারণত মহামারি ঘোষণা করে না, তবে ২০২০ সালের মার্চে করোনা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে তারা এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেছে।

করোনাভাইরাসের মতো এতটা দ্রুত ছড়ায় না মাঙ্কিপক্স। কিন্তু রোগটি এখন মানুষের মধ্যে উদ্বেগ তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।

মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের ব্যাঙ্গুই প্যাসটুয়ার ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ইমানুয়েল নাকুন বলেন, যখন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কোনো রোগ ছড়ায়, তখন সেটিকে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে না। কিন্তু উন্নত দেশগুলোতে ছড়ালেই জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হচ্ছে।

মাঙ্কিপক্সের ওষুধ নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছেন এই গবেষক। তিনি বলেন, যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে, তবে অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যদি প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সমানভাবে পদক্ষেপ নেয়ার রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকে, তবে প্রতিটি দেশের জন্যই তা উপকারী হবে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১