মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

স্ত্রীর কবরের পাশেই চিরশায়িত হবেন গাফ্‌ফার চৌধুরী

প্রবীণ সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীকে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর কবরের পাশেই দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মিনিস্টার (প্রেস) আশিকুন্নবী চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশেই শেষ শয্যা নেবেন গাফ্‌ফার চৌধুরী।

এছাড়া রাতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গাফ্‌ফার চৌধুরীর জানাজা আজ শুক্রবার জুমার পর পূর্ব লন্ডনের ব্রিকলেন মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তার মরদেহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে যত দ্রুত সম্ভব ঢাকায় পাঠানোর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) লন্ডনের বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

গাফ্‌ফার চৌধুরী ডায়াবেটিস, কিডনি রোগসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এক বছর ধরে প্রায়ই তাকে হাসপাতালে থাকতে হতো। তবে গত প্রায় তিন মাস তিনি বার্নেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি…’। মাতৃভাষার জন্য বাঙালির রক্তদানের স্মৃতি জড়ানো একুশের গানের রচয়িতা তিনি। এই গানই তাকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।

লন্ডন থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে দীর্ঘ বছর নিয়মিত কলাম লিখে গেছেন তিনি। দেশের চলমান পরিস্থিতি ও ঘটনার ওপর নিবিড় পর্যবেক্ষণ বজায় রাখতেন। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তার কলম ছিল সোচ্চার। সমকালীন বিষয়ের পাশাপাশি তিনি লিখে গেছেন অসংখ্য কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।

চার মেয়ে ও এক ছেলের বাবা আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। তার মেয়ে বিনীতা চৌধুরী ৫০ বছর বয়সে গত ১৩ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। হাসপাতালে থেকেই মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পান তিনি। বিনীতা চৌধুরী বাবার সঙ্গে লন্ডনের এজওয়ারের বাসায় থাকতেন ও তাকে দেখাশোনা করতেন।

গাফ্‌ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া গ্রামে। ১৯৫৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১