সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
বরগুনা: ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বরগুনাতে প্রস্তুত করা হচ্ছে ৬২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র।
সোমবার (৯ মে) সকাল থেকে উপকূলে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বরগুনায় মোট ৬২৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। প্রত্যেক ইউনিয়ন পর্যায়ে সব আশা প্রকল্প প্রস্তুতির জন্য ইউপি সদস্যদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে আবহাওয়া অফিস থেকে সতর্কতামূলক জারিতে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে না যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুও রাখা যাবে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সর্বশেষ বুলেটিন-৬ এ জানানো হয়, গতি কমিয়ে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। ফলে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অশনির গতি উঠছে ১১৭ কিলোমিটারে। গত ৬ ঘণ্টায় উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার গতি কমিয়ে স্থির অবস্থায় থেকে আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে অশনি।
এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে। এটি গত মধ্য রাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।