বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

পতনের মধ্যেই পুঁজিবাজারে ১৫ হাজারে নতুন নারী বিনিয়োগকারী

পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে মন্দাভাব বিরাজ করছে দেশের পুঁজিবাজারে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দ্বন্দ্ব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে নানা গুজবে টালমাটাল হয়ে পড়েছে শেয়ারবাজার। টানা পতনের কবলে পড়ে পুঁজি হারিয়ে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে ঠেকেছে।

এ পরিস্থিতিতেও দেশের শেয়ারবাজারে বেড়েছে নতুন নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। চলমান পতনের মধ্যেই পুঁজিবাজারে নতুন নারী বিনিয়োগকারী এসেছেন ১৫ হাজারের ওপরে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা নিয়ে এক ধরনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জেরেই পতনের মধ্যে পড়ে শেয়ারবাজার। অক্টোবরের শুরুর দিকে শুরু হওয়া সেই পতনের কবল থেকে এখনো বের হতে পারেনি শেয়ারবাজার।

ফলে অক্টোবরের ৩ তারিখ থেকে চলতি বছরের ৭ মার্চ, এই সময়ের মধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৯০০ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন হারিয়েছে ৬০ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা।

শেয়ারবাজারের এই পতনের মধ্যেই পুঁজিবাজারে এসেছেন ১৫ হাজার ২৬১ জন নারী বিনিয়োগকারী। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর নারী বিনিয়োগকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব ছিল ৪ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯টি। সেই সংখ্যা বেড়ে চলতি বছরের ৭ মার্চ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৮০টিতে।

এদিকে দেশের শেয়ারবাজারে চলা মন্দার মধ্যেই গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এ নিয়ে বাজারে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শেয়ারবাজারে পতনের মাত্র বেড়ে যায় বহু গুণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর পর দেশের শেয়ারবাজারে ৭ মার্চ পর্যন্ত লেনদেন হয়েছে আট কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে।
এর মধ্যে সাত কার্যদিবসেই পতন দিয়ে পার করেছে শেয়ারবাজার। এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৪৯২ পয়েন্ট।

এ পতনের মধ্যেও শেয়ারবাজারে বেড়েছে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর আগের দিন অর্থাৎ ২৩ মার্চ নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৫ লাখ ১৩ হাজার ৮১৭টি। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের মধ্যেই শেষ আট কার্যদিবসে নারী বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৫৬৩টি।

এদিকে পতনের বাজারে শুধু নারী বিনিয়োগকারী নয় পুরুষ বিনিয়োগকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ১৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৬টি। সেই সংখ্যা বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৪০টিতে। অর্থাৎ শেয়ারবাজারে চলমান পতনের মধ্যেই পুরুষ বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব বেড়েছে ৫০ হাজার ৬৪৪টি।

বিপরীতে কমেছে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা। সিডিবিএল’র তথ্য অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ছিল ৯০ হাজার ৪৮৩টি। সেই সংখ্যা কমে এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৪১২টিতে। অর্থাৎ প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ১২ হাজার ৭১টি।

একদিকে দেশের ভিতরের নারী ও পুরুষ বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া, অন্যদিকে প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমার পরিপ্রেক্ষিতে পতনের মধ্যেই সব মিলিয়ে বিও হিসাব বেড়েছে ৬৫ হাজার ৯০৫টি। বর্তমানে বিনিয়োগকারীদের মোট বিও হিসাব আছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৭২০টি, যা গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ছিল ১৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৫টি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০