করোনা: ভারতে একদিনে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ

ভারতে একদিনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই ছুঁই করছে। মঙ্গলবার একদিনে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৯৪ হাজার ৭২০। আগের দিন সোমবার এ সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৮ হাজার। ফলে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ১৫.৮ ভাগ। প্রতিদিন করোনা পরীক্ষায় পজেটিভের শতকরা হার ১১.৫। অর্থাৎ ১০০ জনকে পরীক্ষা করে ১১.৫ জনের দেহে পাওয়া যাচ্ছে করোনা সংক্রমণ। আজ বুধবার সকালে সরকারি ডাটা উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।

করোনা: ভারতে একদিনে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ

এ পর্যন্ত ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮৬৮। উচ্চ সংক্রমণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকায়।

তারপর তা বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ১২৮১ জনের শরীরে। এরপরেই রয়েছে রাজস্থান। সেখানে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৪৫। ওদিকে ২৯টি রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটোরির কমপক্ষে ১২০টি জেলায় করোনায় সাপ্তাহিক পজেটিভের শতকরা হার ১০ ভাগ। একে ভারতে করোনা মহামারির তৃতীয় ঢেউ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

করোনা: ভারতে একদিনে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ

সরকারি হিসাবে শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫৩ কোটি ডোজ টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রন্টলাইনে থাকা স্বাস্থ্যকর্মী ও ৬০ ঊর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য বুস্টার ডোজ দেয়া হচ্ছে। সরকারের একজন শীর্ষ বিশেষজ্ঞ মঙ্গলবার এনডিটিভিকে বলেছেন, তা সত্ত্বেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। প্রায় সবাই এতে সংক্রমিত হতে পারেন। সায়েন্টিফিক এডভাইজরি কমিটি অব দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডার্মিওলজির চেয়ারপারসন ও মহামারি বিশেষজ্ঞ ড. জয়প্রকাশ মুলিয়িল বলেছেন, এই ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে পারবে না বুস্টার ডোজ।

করোনা: ভারতে একদিনে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ

তিনি আরো বলেছেন, ওমিক্রন এখন সাধারণ ঠাণ্ডার মতো আচরণ করছে। তার ভাষায়, এক্ষেত্রে আমি কোনো ব্যবধান দেখছি না। সংক্রমণ হবেই। টিকা দেয়া হোক বা না হোক সারাবিশ্বে এর সংক্রমণ হয়েছে।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই সুস্থ হয়েছেন বাড়িতে। গত এপ্রিল-মে মাসে সর্বশেষ ঢেউয়ের সময় যে হারে মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, এখন তার চেয়ে অর্র্ধেকেরও কম মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অনেক রাজ্য এমন পরিস্থিতিতে নৈশকালীন কারফিউ দিয়েছে। দিল্লি গত সপ্তাহান্তে লকডাউন দেয়। বন্ধ করে দেয় বেসরকারি অফিস, রেস্তোরাঁ ও বার।