শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
ভারতের সুপ্রিম কোর্টে ৬ বছর ধরে ঝুলে আছে কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানী হত্যার বিচারের রিট শুনানি। এখনো বিচার না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার বাবা-মা।অন্যদিকে, ফেলানী হত্যার ন্যায্য বিচার হলে দুদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশাবাদী মামলার পাবলিক প্রসিকিউটর।
বিচারের আশায় আজও প্রহর গুনছেন ফেলানীর বাবা-মা
ফেলানী হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পার হলেও এখনো ন্যায়বিচার মেলেনি। এদিকে, সীমান্ত হত্যা বেড়েই চলেছে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে দুদেশেই।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে ২০১১ সালে বিএসএফের সদস্যরা নাগেশ্বরীর কিশোরী ফেলানীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সেই মর্মান্তিক হত্যার কাঙ্ক্ষিত বিচারের আশায় আজও প্রহর গুনছেন ফেলানীর বাবা-মা। বিএসএফের জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে বিচার এবং পুনর্বিচারের রায়ে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে খালাস দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করা হলেও তারিখের পর তারিখ বদলেছে শুধু। কিন্তু শুনানি হয়নি।
এ বিষয়ে ফেলানীর মা জাহানারা বেগম বলেন, আজও আমি আমার সন্তানের বিচার পেলাম না। তিনি আরও বলেন, কোনো মায়ের সন্তানকে যেন এভাবে আর না মারা হয়।
ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, আমার চোখের সামনে আমার সন্তানকে মারছে। আমি এখনো বিচার পাইনি আমার সন্তান হত্যার। আমি চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেলানীর মৃত্যুর বিচার হোক।
কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, যদি ফেলানী হত্যার ন্যায়বিচার মেলে তবে দুদেশের সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) রংপুরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কে দোরাইস্বামী বলেন, অবৈধ কর্মকাণ্ডের জন্য সীমান্তে হত্যা বাড়ছে।
ফেলানীর বাবা এবং ভারতের কলকাতাস্থ মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’র সাধারণ সম্পাদক কিরিটি রায় যৌথভাবে বাদী হয়ে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতের সুপ্রীম কোর্টে রিট আবেদনটি দাখিল করেন। এরপর ১৪ আগস্ট ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে শুনানি শেষে রিট আবেদনটি গ্রহণ করা হয়।