মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

বালতিতে ১৬ দিনের শিশুর লাশ, জানা গেল মৃত্যুর রহস্য

বালতিতে ১৬ দিনের শিশুর লাশ, জানা গেল মৃত্যুর রহস্য কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বালতিতে শিশুসন্তানের লাশ পাওয়া যায়। এ নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়। অবশেষে জানা গেল মৃত্যুর রহস্য।জানা গেছে, ঘটনার দিন শিশুটির মা সাকিলা বেগম সন্তানকে গোসল করাতে গিয়ে অসাবধানতায় হঠাৎ হাত থেকে শিশুটি পানিভর্তি বালতিতে পড়ে যায়। পরে তৎক্ষণাৎ মা শিশুটিকে পানি থেকে তুলে নিয়ে দেখতে পান শিশুটির প্রাণ নেই। এ সময় বাসার কেউ কাছে ছিল না।

তারপর স্বামী ও শাশুড়ির ভয়ে মা শিশুটিকে বালতির পানিতে রেখে রুমে চলে যান। পরে মা সাকিলা নাটক সাজিয়ে বলেন, আমি সন্তানকে কোলে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা আমার সন্তানকে কোল থেকে নিয়ে বালতির পানিতে ফেলে দেয়। পরে নাটক সাজিয়ে স্বামী ও শাশুড়িকে দিয়ে এ মিথ্যা কথা বলানো হয়।মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে শিশুটির বাবা-মা এভাবেই ঘটনাটির বিবরণ দিয়েছেন। ঘটনার বিবরণ শুনে পুলিশ অবাক হয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার দুপুরে ভৈরব শহরের কালিপুর এলাকায়। শিশুটির মায়ের নাম সাকিলা বেগম ও বাবার নাম ইদ্রিছ মিয়া। বাবা পেশায় টিভি মেকানিক। শিশুটির বয়স ১৬ দিন।ঘটনার দিন শিশুটিকে বালতির পানিতে পাওয়া যায়। পরে বিষয়টি প্রচার করা হয় ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে শিশুটিকে কে বা কারা নিয়ে বালতির পানিতে ফেলে হত্যা করে। তারপর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে এবং ওই দিনই থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন জানান, ঘটনার ৫ দিন পর মঙ্গলবার রাতে শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হয়। এ সময় শিশুটির বাবা ইদ্রিছ মিয়া বলেন- আমার স্ত্রীর ভুলের কারণে আমার সন্তান মারা গেছে। সে ভয়ে এদিন সত্য কথা বলেনি। পরে সে আমাকে জানায় শিশুটিকে গোসল করানোর সময় অসাবধানতাবশত বালতির পানিতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। তারপর নিজের ভুল ঢাকতে ভয়ে সে বলেছিল কে বা কারা শিশুটিকে বালতিতে ফেলে হত্যা করে। এ সময় থানায় স্বামীর সঙ্গে তার স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেও এ সত্য ঘটনাটি আমার কাছে স্বীকার করে।

তিনি বলেন, আমি দুজনের কথা শুনে হতবাক হয়েছি। তবে শিশুটিকে মা হত্যা করেনি একথা সত্য। শিশুটির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১