শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
মেহগনি গাছে ঝুলছিল জবি শিক্ষার্থীর লাশ ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অমিতোষ হালদারের (২৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাটকেলবাড়ি গ্রামের নিজ বাড়ির পাশে একটি মেহগনি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অমিতোষ ওই গ্রামের গোপেন্দ্র হালদারের ছেলে। পুলিশের ধারণা, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্র গত এক মাস আগে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে অনেকটা নিশ্চুপ ছিলেন তিনি। বুধবার রাতের বেলায় বাবা-মাকে ঘরের বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দিয়ে তিনি গাছের ডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে অমিতোষের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
পরে বিকেলে গোপালগঞ্জ পৌর শশানে তার সৎকার সম্পন্ন হয়। এদিকে অমিতোষের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তার সহপাঠী ও শিক্ষকরা।
জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবির বলেন, অমিতোষ ক্লাসে খুব চুপচাপ থাকতো। শিক্ষক হিসেবে তার মৃত্যুর সংবাদ পাওয়াটা প্রচণ্ড কষ্টদায়ক। তার বন্ধুরা বা পরিবারের সদস্যরা কেউই কারণ বলতে পারছে না। তার ফেসবুক পোস্ট বা কোনো তথ্য যদি আমার চোখে পরতো তবে আমরা তাকে কাউন্সিলিং করতাম।
বিভাগের আরেক শিক্ষক জাকারিয়া খান বলেন, আমি তাদের ব্যাচের তিনটি কোর্স করিয়েছি। ওকে (অমিতোষ) সবসময় চুপচাপ থাকতে দেখেছি। ক্লাসে কোনো কথা বলতো না। ক্লাসের বাইরেও অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে মিশতে দেখিনি কখনো। তার এই মৃত্যু মেনে নেওয়া কষ্টের।