সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
অনুমতি পেলেই কেটে ফেলা হবে চাঁদপুরের ,মিনি কক্সবাজার ।
চাঁদপুর মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে চাঁদপুরের ত্রিনদীর মোহনা (পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া) থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বালুবেষ্টিত একটি চর। দেখতে অনেকটা কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের মতো হওয়ায় স্থানটি ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। খুব অল্প সময়েই ভ্রমণপ্রিয়দের পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে স্থানটি।
জনপ্রিয় এ স্পটটি যে কোনো সময় কেটে ফেলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল বলেন, মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত স্থানটি চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের জন্য হুমকিস্বরূপ। মূলত এ চরের কারণে পানির স্বাভাবিক চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে চাঁদপুর শহর সংরক্ষণের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিল। ওই প্রস্তাবনার ওপর ভিত্তি করে ২০২০ সালে বিষয়টি স্টাডি করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বুয়েট এবং আইডব্লিউএম (ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং) সদস্যরা এসে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তারা উল্লেখ করেন, শহর রক্ষার জন্য ব্লক ফেলা উচিত এবং বিপরীত দিকে বাধা প্রদানকারী এসব চর কেটে ফেলা দরকার। তাতে নদীর পানি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে এবং শহর রক্ষা বাঁধ নিরাপদ থাকবে। তাদের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। কিন্তু আমাদের ওই ডিপিপি এখনো পাস হয়ে আসেনি।
‘আমাদের প্রস্তাবনা আমরা পাঠিয়েছি। তবে এখনো অনুমতি না পাওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি। অনুমতি পেলেই আমরা আমাদের কাজ শুরু করবো’—যোগ করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রিফাত জামিল।
এর আগে সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, যে কোনো সময় মিনি কক্সবাজার স্থানটি কেটে ফেলা হবে। তাই ওখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা সম্ভব নয়।