রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
এক মাছেই লাখপতি!
বাগেরহাটে সাড়ে ১৩ কেজির জাভা ভোল মাছ বিক্রি হয়েছে এক লাখ ৮ হাজার টাকায়। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মণে মাছটি বিক্রি করা হয়।
এর আগে বরগুনা জেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুম কোম্পানির একটি ট্রলার বাজারে মাছটি নিয়ে আসে। কেবি বাজারের আড়ৎদার অনুপমের ঘরে মাছটি ডাক দেওয়া হয়। উন্মুক্ত ডাকে স্থানীয় ক্রেতা আল আমিন হাজী মাছটি কিনে নেন।
আড়ৎদার অনুপম বলেন, মাসুম কোম্পানির জেলেরা মাছটি আড়তে নিয়ে আসে। ১৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছটি এক লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
মাছটির ক্রেতা আল আমিন হাজী বলেন, এ মাছটি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠাব। এই মাছগুলো অনেক দামে বিক্রি হয়। এটি যদি ৩০ কেজি ওজন হতো, তাহলে অন্তত ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। যতদূর শুনেছি এই মাছের পেটের মধ্যে যে পুটকা (প্যাটা/বালিশ) থাকে তা খুব দামি। এটি দিয়ে ওষুধ বানানো হয়।
তিনি আরও বলেন, যতদূর জেনেছি এই মাছটি খোলা বাজারে টুকরো করে ৭ থেকে ৯শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে এর আালিশ প্রসেসিং করে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়।
জাবা ভোল বা সোনা ভোলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া— এই সব দেশে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি।
এই মাছের ঔষধি গুণ থাকাতেই এর মূল্য এত বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদন সংস্থাগুলি এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়েই তৈরি হয় ওষুধ। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে কিডনির নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়।