শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও অবৈধ সাইকেলহাট, জানেন না ইউএনও

ঠাকুরগাঁও অবৈধ সাইকেলহাট, জানেন না ইউএনও ।
প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই জেলা শহর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে বসছে অবৈধ সাইকেলহাট। বিশ বছর ধরে বাইসাইকেল কেনাবেচা হচ্ছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের খোচাবাড়ির গৌরিপুর এলাকার এই হাটে।

সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হলেও বিষয়টি ‘অজানা’ উপজেলা প্রশাসনের। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুনও বলছেন, বাইসাইকেলের হাটের বিষয়টি জানা নেই তার।

সরেজমিনে দেখা গেছে, স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি অবৈধভাবে হাটটি পরিচালনা করছেন। টোল আদায়ের রশিদ বানিয়ে সাইকেল কেনাবেচা করতে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতিটি সাইকেল বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা করে। মূলত এই হাটে সপ্তাহে দু’দিন শনি ও মঙ্গলবার বাইসাইকেল কেনাবেচা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে প্রতি হাটবারেই শতাধিক সাইকেল নিয়ে সকাল থেকে উপস্থিত হন বিক্রেতারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জমে উঠে কেনাবেচা। গড়ে প্রতিদিন ৩০টির বেশি সাইকেল কেনাবেচা হয়।

সপ্তাহে দু’দিনের এ হাটে একদিনেই ৩০-৩৫টি সাইকেল কেনাবেচায় টোল আদায় করা হচ্ছে ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। আর মাসে টোল আদায়ের পরিমাণ অর্ধলাখ টাকার বেশি। সে হিসাবে বছরে এই পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৬ লাখ টাকা। আর সাইকেল বিক্রির টোলের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

এদিকে হাটটি থেকে এত টাকা আয় হলেও বিষয়টি জানে না প্রশাসন। ২০ বছর ধরে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি হাটটি পরিচালনা করলেও প্রশাসন এ বিষয়ে কিছুই জানে না। ফলে সরকার বছরের পর বছর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

হাটের টোল আদায়কারী কৃষি নাথ জানান, উপজেলা প্রশাসনের কাছে মৌখিক অনুমোদন নিয়েই ২০ বছর ধরে হাটটি পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে হাট পরিচালনায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হবে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বাইসাইকেলের হাটের বিষয়টি আমার জানা নেই। অবৈধভাবে কেউ হাট পরিচালনা করলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০