বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
মাদ্রাসায় ১৯৪ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল।
দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে উক্ত পোস্টে আবেদনকারীদের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ কেনো দেয়া হবে না সে বিষয়ে বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করেছেন আদালত।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক সার্কুলার অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষদের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দিলে স্ব স্ব মাদ্রাসার অধ্যক্ষগন উক্ত পদসমূহে বিভিন্ন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞাপন দিলে আবেদনকারীরা উক্ত পদে অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন করে আবেদন করেন। দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় উক্ত পদ সমূহে নিয়োগ সম্পন্নও হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে বিগত ১৮ জুলাই, ২০২১ খ্রীস্টাব্দে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের এক অফিস আদেশ দিয়ে দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরিবর্তে উক্ত পদ দুটি বাতিল করে পদ দুটিকে সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান) এবং গ্রন্থাগার প্রভাষক সৃষ্টি করে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষার অংশ হিসেবে উক্ত পদ দুটিতে (সংশোধিত এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী) সিলেবাস প্রণয়নসহ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশনা দেয়।
দেশের বিভিন্ন দাখিল, আলিম, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসায় সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা মৌলিক অধিকার পরিপন্থী দাবি করে এবং নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশনা চেয়ে বিগত ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে ১৯৪ জন আবেদনকারীর পক্ষে রীট আবেদন দাখিল করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ। রীটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার উক্ত রুল জারি করেন। শিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ ১০ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোঃ আরিফুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।