রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
জামালপুরের নিখোঁজ সেই তিন ছাত্রী ঢাকা থেকে উদ্ধার ।
জামালপুরের ইসলামপুরের দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদরাসার আবাসিক কক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়া দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিশু শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজের পাঁচদিন পর বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১২টা ৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডা এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে ইসলামপুর সার্কেল পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো-ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০)।
গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৩ মাদ্রাসাছাত্রী মীম, মনিরা এবং সূর্যমণি নিখোঁজ হয়। পরে তাদের উদ্ধারে অভিযানে নামে জামালপুর জেলা পুলিশ। ৪ দিন পর কমলাপুর স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে ৩ শিশুর খোঁজ পায় পুলিশ।
মাদ্রাসায় পড়াশোনার চাপ কিংবা পারিবারিক কলহ থেকে বাঁচতেই জামালপুর থেকে ঢাকাগামী কমিউটার এক্সপ্রেসে করে পালিয়ে আসে এই তিন মাদ্রাসাছাত্রী। পরে রাজধানীর মুগদা এলাকার এক রিকশাচালকের সাহায্য নিয়ে বাসা ভাড়া করে তারা।
জামালপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সুমন মিয়া বলেন, কমলাপুর স্টেশন থেকে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করি। ফুটেজে আমরা দেখতে পাই তারা একটি রিকশা করে মাদারটেক এলাকার দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা সেই রিকশাচালক রাজাকে খুঁজে বের করি। তাকে নিয়ে মুগদার মান্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করতে সক্ষম হই। আশ্রয়দাতা রিকশাচালক রাজা মিয়া জানান, অসহায় তিন শিশুকে দেখে মায়া হয় তার। এ কারণেই তাদের বাসা ভাড়া করে থাকার ব্যবস্থা করেন তিনি।
রাজা মিয়া বলেন, তারা আমাকে বলে ভাইয়া আমরা স্কুলে যাব। এরপর আমাকে বলে একটা বাসা হবে থাকার জন্য? পরে এক হাজার ৫০০ টাকা ভাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে দেই। এ কয়দিন তারা আমার টাকায় খাওয়াদাওয়া করেছে।
স্বল্প সময়ে শিশুদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হওয়ায় স্বস্তি জানান স্বজনরা। তারা বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় আমরা বাচ্চাগুলোকে ফেরত পেয়েছি। তাদের অনেক ধন্যবাদ।
পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তিন শিশুকে জামালপুর নিয়ে যাওয়া হয়।