রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে জলাবদ্ধতা!
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বর, প্রবেশপথ, মাঠ প্রায় দেড় মাস ধরে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়ে বিদ্যালয়ের মেঝে পর্যন্ত উঠে যাচ্ছে। প্রধান সড়ক থেকে বিদ্যালয়ের মাঠ পর্যন্ত প্রায় পঞ্চাশ ফুট রাস্তা ডুবে আছে পানির নিচে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। পানি নিষ্কাশনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এদিকে বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পানিতে নিমজ্জিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম, মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার।
দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী পার্থ ঘোষ, ছাব্বির আহম্মেদসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, স্কুলে প্রবেশের রাস্তায় হাঁটুর ওপর পর্যন্ত পানি থাকে। কখনো কখনো প্যান্ট গুটিয়ে স্কুলে প্রবেশের সময় পানিতে তলিয়ে থাকা ভাঙা রাস্তার খানাখন্দে পড়ে জামা কাপড় ও বইপত্র ভিজে যায়।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজিদ হাসান বলে, জমে থাকা পানি ভেঙে স্কুলে প্রবেশ করার পর অনবরত পা চুলকায়। পানিতে ভেজা থাকায় পায়ে মশা কামড়াতে থাকে। এ জলাবদ্ধতার জন্য আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। আমরা চাই দ্রুত পানি অপসারণ এবং ভবিষ্যতে যেন পানি না জমে সেই ব্যবস্থা করা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান, কিছু প্রভাবশালী মানুষ ঘের তৈরি করার সময় নদীতে বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা না রেখেই বাঁধ দিয়েছে। ফলে স্কুলের পথসহ আশপাশের বাগান বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। বিষয়টি সবার সামনে ঘটলেও কোনো প্রতিকার নেই।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছুটির পর বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে রাস্তার ওপর স্থানীয় শিশুদের ছিপ ফেলে মাছ ধরতে দেখা যায়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর জলাবদ্ধতার কারণে ছাত্রদের বিদ্যালয়ে আসতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
মূলঘর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুন্সি শাহরিয়ার হাসান বলেন, বিদ্যালয়ে ৩২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রায় দেড় মাস ধরে যাওয়া-আসার ভাঙা রাস্তাটি সম্পূর্ণ পানির নিচে রয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছে। অতিদ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন, তা না হলে যেকোনো সময় শিক্ষার্থীরা যেকোনো দুর্ঘটনায় পড়ে যাবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি স্থায়ী ড্রেন তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিটলার গোলদার।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বলেন, পানির বিষয়টি শুনে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে স্থায়ী সমাধানের জন্য বলা হয়েছে। আশা করি দ্রুত শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘব হবে।