শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির জনকের ৭ মার্চের ভাষণের আঙ্গুল উঁচানোর ভাস্কর্য স্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ভাষণটি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার কাজ করবে।
এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগের আদেশ অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া জেলায় জেলায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপনে আগের আদেশ বাস্তবায়নেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভাস্কর্য স্থাপনের জন্য একটি কমিটি করতে বলেছেন আদালত।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে ৭ মার্চের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওইদিন ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আদালত মুজিববর্ষের মধ্যে দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা কমপ্লেক্সে রাষ্ট্রীয় খরচে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণের নির্দেশ দেন।
তারও আগে ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।