মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪
পানির স্রোতে চলে সেচযন্ত্র । পানির স্রোত কাজে লাগিয়ে খরচবিহীন সেচযন্ত্র উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলেছেন ভোলার লালমোহন উপজেলার লালমোহন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সির হাওলা গ্রামের ওয়ার্ডের কৃষক মো. অলিউল্লাহ (৫০)। তার নতুন এ সেচযন্ত্র দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ওই গ্রামে ভিড় করছেন।
নিজের উদ্ভাবিত সেচযন্ত্র প্রসঙ্গে কৃষক অলিউল্লাহ বলেন, তিনি একসময় বৈদ্যুতিক মোটর ও ইঞ্জিনচালিত মোটর দিয়ে ফসলি জমিতে সেচ দিতেন। এতে বছরে তার অনেক খরচ গুনতে হতো। তখন থেকে বিনা খরচে সেচযন্ত্রের বিষয়টি তার মাথায় আসে। পরে তিনি অ্যাঙ্গেল, প্ল্যান শিট ও প্লাস্টিক পাইপের সাহায্যে তৈরি করেন নতুন এ সেচযন্ত্র।
কৃষক অলিউল্লাহ উদ্ভাবিত গোল আকৃতির সেচযন্ত্রটিতে আটটি পাখা রয়েছে, যা পানির স্রোতের সাহায্যে ঘোরে। জোয়ারের প্রভাবে যখন পাখাগুলো ঘুরতে থাকে, তখন ইউপিভিসি ক্লাস ডি পাইপগুলো পানি ভর্তি হয়ে কয়েল পাইপের মাধ্যমে কন্টেইনারে ভর্তি হয়। কন্টেইনার থেকে আরেকটি পাইপের সাহায্যে জমিতে অনবরত পানি নির্গত হতে থাকে।
সেচযন্ত্রটি বিদ্যুৎ বা তেলে চলে না। ফলে কোনো খরচও নেই। ২৪ ঘণ্টায়ই সেচ কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে। তবে নতুন এ সেচযন্ত্রটি সরকারি বা বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে আধুনিকায়ন করতে পারবেন বলে জানান কৃষক অলিউল্লাহ।
লালমোহন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএফএম শাহাবুদ্দিন জানান, সেচযন্ত্রটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে এর কার্যকারিতা ও সম্ভাবতা যাচাইয়ের জন্য জেলা উপ-পরিচালক ও কৃষি প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে। যাচাইয়ের পরে সেচযন্ত্রটি কার্যকর হলে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সেটাকে বাণিজ্যিক আকারে তৈরিতে সহযোগিতা করা হবে।