শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
বোমা বিস্ফোরণ মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হককে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে তোলা হবে। এজন্য আদালত এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
২০১৩ সালে নগরীর সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় বিস্ফোরক মামলাটি করা হয়। ওই মামলার আসামি মাওলানা মামুনুল হক। এর আগে শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে খুলনায় আনা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতার যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় তিন হাজার মানুষ মিছিল বের করেন। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল।
ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা মিছিল থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
আহতদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে আটক করে থানায় আনা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে সোনাডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবীর।
ওই ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাঙচুরসহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুসারিদের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন।