শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
করোনা সংক্রমণের কারণে দীর্ঘ বন্ধের পর আবারও ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে সবজি রপ্তানি শুরু হলো। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বাংলাদেশ বিমানে যোগে দুবাইতে প্রায় ২৫ টন সবজি পাঠানোর মধ্য দিয়ে রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়।
জানা যায়, মহামারির আগে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রতি মাসে ২০০ টনেরও বেশি সবজি রপ্তানি হতো। সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ৬০ থেকে ৭০ পদের সবজি সরাসরি রপ্তানি হয়। তবে দেশের সবজির বড় বাজার ইউরোপের দেশগুলো।
রপ্তানি হওয়া সবজির মধ্যে বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন সবজি বেশি যায়। এর মধ্যে রয়েছে কচুর লতি, কচু, পটল, ঝিঙে, শসা, করলা, কাঁকরোল, বরবটি, শিম, লেবু, জলপাই, সাতকরা, লাউসহ আরও নানা সবজি। তবে শীতের শুরুতে অক্টোবর মাসেও শীতকালীন সবজি যায়।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সবজি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফোরকান বলেন, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত চার মাস চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি সব সবজি রপ্তানি বন্ধ ছিল। যদিও ঢাকা থেকে কিছু সবজি রপ্তানি করতো চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকরা। তবে আজ থেকে বাংলাদেশ বিমানে করে সরাসরি সবজি রপ্তানি শুরু হল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৯০ লাখ প্রবাসী মানুষ রয়েছে মূলত এসব সবজির ক্রেতা।
তবে বিদেশিদের মধ্যেও বেশকিছু বাংলাদেশি সবজির চাহিদা রয়েছে। মূলত চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল, কুমিল্লা, তিন পার্বত্য জেলাসহ উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন সবজি সরবরাহ করে সেগুলো স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিচ্ছন্নভাবে প্যাকেজিং করে রপ্তানির জন্য উপযুক্ত করা হয়।
এক্ষেত্রে সরবরাহকারী তিতাস বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী আবুল হোসেন বলেন, দেশের যে অঞ্চলের যে সবজি বিখ্যাত সেই সবজিগুলো সংগ্রহ করে সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে আমরা কমিশনের মাধ্যমে রপ্তানিকারকদের কাছে সরবরাহ করি।