রাজধানীতে থামছেই না কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। এবার দারুসসালামে পূর্বশত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছে ৩ বন্ধু। তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর দারুসসালামে কথিত কিশোর গ্যাঙের সদস্যদের দ্বন্দ্ব মিটমাট করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন রিয়ান, সোহান এবং ইমন নামে তিন বন্ধু।
সম্প্রতি (২৩ আগস্ট, সোমবার) দারুসসালাম এলাকার সেলিনা হাসপাতালের গলিতে রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এই ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নেয় তাদের বন্ধুরা। ছুরি দিয়ে ওই তিন কিশোরের গলা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয় বলেও জানায় উদ্ধারকারীরা।
আহত তিন কিশোরের বন্ধুরা জানায়, হামলাকারী গ্রুপের সঙ্গে সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব ছিল এলাকার আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে। ঘটনার দিন রিয়ান, সোহান ও ইমন সেলিনা হাসপাতালের গলি দিয়ে ফিরতে ছিল। কিন্তু অন্ধকারে হামলাকারীরা তাদের তিনজনকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্য মনে করে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। হামলাকারী গ্রুপের ২০ থেকে ২২ জন সদস্য মোটরবাইকে করে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।
এই ঘটনার জন্য সাকিব নামে এক কিশোরের নেতৃত্বাধীন একটি গ্যাংকে দায়ী করা হচ্ছে।
আহত কিশোরদের বন্ধুরা জানায়, ওই গ্রুপটার নেতৃত্ব দেয় সাকিব আর ইমন। এলাকায় টাংটুং ইমন ও ময়লা ইমন নামেও রয়েছে গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা আরও দুই কিশোর। তারা জানায়, কিশোর এসব গ্যাংয়ের পেছনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছে স্থানীয় কিছু রাজনীতিক যারা কথিত ‘বড় ভাই’ নামে পরিচিত।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের মধ্যে রিয়ান এবং সোহানের অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া বলেন, জানা গেছে ওই এলাকায় সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে কিছুদিন আগে একটা গণ্ডগোল হয়। ওই বিষয়টাকে মিটমাট করতে রিয়ান, সোহান ও ইমন মিটমাট করতে বসে। এরপরই তাদের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।