শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
মশার নেই কোনো এলাকা, নেই কোনো সিটি করপোরেশনের সীমানা। এমনকি উচ্চ-মধ্য বা নিম্নবিত্তের এলাকাও নেই মশার ডিকশনারিতে। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সারিতে সব এলাকা, সব ধরনের মানুষ।
ডেঙ্গুর ধরন এ বছর মৃত্যুরও কারণ। শ্রেণি বিভাজনে এ বছর আক্রান্তের হারে ১ থেকে ১০ বছরের শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে আবার বয়সভেদেও দেখা দিচ্ছে পৃথক পৃথক লক্ষণ। চিকিৎসকরা বলছেন- এবারের ধরনে গত এক সপ্তাহে শিশুদের সঙ্গে বৃদ্ধদেরও জীবন ঝুঁকিও সমানতালে বেড়েছে।
তথ্য বলছে, হাসপাতালে ভর্তি শিশুদের ৫০ শতাংশের বেশি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার। এলাকাভিত্তিক সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, খিলগাঁও, রামপুরা ও মোহাম্মদপুরে।
ধানমন্ডি ১৫ থেকে আসা এক রোগী জানান, কোনো আশপাশে কোনো ডোবা না থাকলেও কেনো মশার উপদ্রব তা তিনি নিজে জানেন না। এমন রোগীদের নিয়ে অভিভাবকরা এসেছেন বিভিন্ন এলাকা থেকে। যাদের মধ্যে দু-তিন দিন জ্বরে ভুগছেন বেশির ভাগ রোগীই।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের তথ্য বলছে, ডেঙ্গু ও সাধারণ রোগীদের ভিড়ে হাসপাতালটির ৬৭৪ বেডই পূর্ণ। অনেকে বেড না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন অন্য হাসপাতালে। এদিকে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ২৬৭ জন। এর মধ্যে ২১৭ জনই ঢাকার। আর ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন ৫০ জন।
এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯০ জনে। তাদের মধ্যে ঢাকার ৪১টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ৯৬৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১২৫ জন।