বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রে শতাব্দীর সবচেয়ে সফল নারী উদ্যোক্তা ও নির্বাহীদের র্যাংকিং প্রকাশ করেছে ব্যবসাভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বস। এতে সবার ওপরে নাম রয়েছে ডিয়ানে হেন্ডরিকসের। তার মোট সম্পদের মূল্য হবে এক হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।
উইসকনসিনের বাসিন্দা ডিয়ানে এবিসি সাপ্লাইয়ের প্রধান। তিনি অবকাঠামো নির্মাণ ব্যবসা করেন। ১৯৮২ সালে তার প্রয়াত স্বামী কেনের সঙ্গে মিলে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু করেন। ২০০৭ সালে তার স্বামী মারা যান। এবিসি সাপ্লাইয়ের ৮০০-এর মতো শাখা রয়েছে। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনায়ও কাজ করছেন।
ফোর্বসের তালিকায় তার পরেই রয়েছে জুডি ফোলকনারের নাম। তিনি আমেরিকার প্রধান মেডিকেল-রেকর্ড সফটওয়্যার সরবরাহকারী এপিক সিস্টেমসের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৭৯ সালে উইসকনসিনে তিনি এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন। জুডি একজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। তার সম্পদের পরিমাণ সাড়ে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার।
ফোর্বসের তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছেন কুইবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেগ হুইটম্যানের নাম। তার সম্পদের মূল্য হবে ছয় ৩০ কোটি মার্কিন ডলার। ৬৫ বছর বয়সী এই নারী ইকমার্স প্রতিষ্ঠান ইবেই-কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিচিতি পেয়েছেন।
এর পরেই রয়েছেন, ওকলাহোমার গ্যাস স্টেশন ব্যবসায়ী জুডি লাভ। ১৯৬৪ সালে শ্বশুড়ের কাছ থেকে পাঁচ হাজার ডলার ধার নিয়ে তিনি ব্যবসা শুরু করেন। তার বর্তমানে ৫২০ কোটি মার্কিন ডলারের সম্পদ রয়েছে। আর ৪৪০ কোটি ডলারের সম্পদ নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছেন মারিয়ান ইলিচ।
ফোর্বসের সফল নারী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের তালিকায় মোট ১০০ নারীর মধ্যে পাঁচ ভারতীয় বংশোদ্ভূতও রয়েছেন।
তারা হলেন, পেসসিকোর সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইন্দ্রা নোই, সিনটেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা নিরজা সেথি, কনফ্লুয়েন্টের সাবেক প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা নেহা নারখেদি, অ্যারিস্টা নেটওয়ার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রেসিডেন্ট জয়শ্রী উল্লাল এবং গিংকো বায়োওয়ার্কের সহপ্রতিষ্ঠাতা রেসমা শেঠি।
এর মধ্যে ইন্দ্রিরা নোইর সম্পদের পরিমাণ ২৯ কোটি মার্কিন ডলার। কোম্পানির শীর্ষ পদে ১২ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নোইরি ভারতে বেড়ে উঠে পরবর্তীতে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছেন। ২০১৯ সালে তিনি আমাজনের বোর্ডে যুক্ত হন। ফোর্বসের তালিকায় ৯১তম অবস্থানে আছেন তিনি।