বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
নানা জটিলতায় ধুঁকছে নোয়াখালীর একমাত্র চামড়া প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান ‘দ্য নোয়াখালী ট্যানারি’। কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনায় রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় কর্মকাণ্ড অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। সরকার এ খাতে নানা প্রণোদনা দিলেও প্রতিষ্ঠানটি পায়নি কোনো সহায়তা।
১৯৫০ সালে বৃহত্তর নোয়াখালীর একমাত্র চামড়া প্রক্রিয়াজাত কারখানার যাত্রা শুরু। ২০০০ সাল থেকে এ প্রতিষ্ঠান থেকে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের পাশাপাশি রপ্তানি করা হতো বিভিন্ন দেশে। বছরে গড়ে ছয় লাখ ডলার বৈদেশিক মুদ্রা আসত এ খাতে।
কিন্তু গত দু’বছর করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় সবকিছু। এখন মাত্র ৩০ থেকে ৩২ জন শ্রমিক নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে কাজ চলছে। কয়েক বছর আগের চামড়াও স্তূপাকারে পড়ে আছে। অনেক যন্ত্রপাতিও বিকল হওয়ার পথে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার সময়ে চীনের সঙ্গে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। এ কারণে চামড়া বিক্রি বন্ধ হয়ে আছে। শ্রমিকরা অলস সময় কাটাচ্ছে। কাজ না থাকায় দেখা দিয়েছে অর্থসংকট। শ্রমিকরা নির্বিশেষে হতাশায় ভুগছে বলে জানায় তারা।
কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা মহামারির পাশাপাশি চামড়ার চাহিদা না থাকা, কেমিক্যালের দুষ্প্রাপ্যতা, শ্রমিকের মূল্যবৃদ্ধিসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি ধুঁকছে। আগে, প্রতি মৌসুমে গরুর দেড় লাখ, ছাগলের দুই লাখ ও ৫০ হাজার মহিষের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করা হতো। এ বছর তা নেমে এসেছে কয়েক হাজারে।
প্রতিষ্ঠানটির মালিক শাহরিয়ার ছারওয়ার সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম আপগ্রেড করার প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের হাতে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ নেই। সরকার যদি আমাদের প্রণোদনার ব্যবস্থা করে তো আমরা ঘুরে দাড়াতে পারব।’
উল্লেখ্য, সোনাপুরের দত্তেরহাটের গোপাই গ্রামের এ শিল্প কারখানাটি নিজ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন একজন স্থানীয় উদ্যোক্তা সাঈদ মিয়া।