বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ব্লুটুথযুক্ত হেলমেট যে সব কারণে জনপ্রিয়

ফাঁকা রাস্তায় আপনি বাইক চালাচ্ছেন। পেছনে বসে আপনার বন্ধু। দুজনেরই মাথায় হেলমেট। এই অবস্থায় পেছন থেকে আপনার বন্ধু আপনাকে কিছু বললেন। কিন্তু কোনোভাবেই তা আপনার কানে এল না।

এমন তো হরহামেশাই হয়। বাইক চালানোর সময়ে হাওয়ার কারণে অন্যের কথা শোনা যায় না। এক বাইকের দুই আরোহী তো আছেই, বন্ধুরা মিলে আলাদা আলাদা বাইক নিয়ে ঘুরতে গেলেও এই সমস্যা হয়। বাইক চালানোর সময়ে পরস্পরের কথা প্রায় শোনাই যায় না।

কিন্তু এই সমস্যার সমাধান হতে পারে ব্লুটুথ হেলমেট। সেই কারণেই এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। ঠিক কী কী সুবিধা আছে এই ধরনের হেলমেটে? দেখে নেওয়া যাক।

কথা বলার সুবিধা:
ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত হেলমেটগুলো যারা পরে রয়েছেন, তারা এর মধ্যে দিয়েই পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। তা সে একই বাইকের দুই আরোহী হন, কিংবা দুটি বা তার বেশি বাইকের আরোহী। দলবদ্ধভাবে বাইক চালিয়ে বেড়াতে গেলে কাজে লাগতে পারে এই জাতীয় হেলমেট। হেলমেট ইন্টারকম অনেক দিন আগেই বাজারে এসেছে। তাতেও একই কাজ হয়। কিন্তু তাতে হেলমেটের সঙ্গে আলাদা করে লাগানো হয় যন্ত্র। ব্লুটুথ হেলমেটের ক্ষেত্রে তারেরও ঝামেলা নেই।

গান শোনার ব্যবস্থা:
হেলমেট পরা অবস্থায় হেডফোন বা ইয়ারফোন ব্যবহার করা মুশকিল। কেমন হয় যদি, হেলমেটেই থাকে গান শোনার ব্যবস্থা? তাই থাকে এই ধরনের হেলমেটে।

সহজেই পথনির্দেশ:
ফোনের স্পিকারের মাধ্যমে পথনির্দেশ বা ‘নেভিগেশন’ শোনা যেতে পারে। কিন্তু হাওয়ার শব্দে চলন্ত বাইকে বসে তা শোনা মুশকিল। হেলমেটেই তার বন্দোবস্ত থাকলে সেটা শোনা সহজ হয়ে যায়।

ফোনও ধরা যেতে পারে:
বাইক চালাতে চালাতে ফোনে কথা বলা বিপজ্জনক। কিন্তু অতি প্রয়োজনে তাও করতে হয়। তখন হেলমেট আর কানের মাঝখানে ফোন আটকে রেখে কথা বলেন অনেকে। কিন্তু ব্লুটুথ হেলমেটে ফোন ধরারও সুবিধা থাকে। প্রয়োজনে অল্প কথাও বলে নেওয়া যায় সহজে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০