শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সারাদেশে একদিনে রেকর্ড ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭০ জন টিকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রেকর্ড ২৭ লাখ ৮৩ হাজার ১৭২ জনকে প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৭৯৮ জন। শনিবার (৭ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিকাগ্রহীতাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ১৬ হাজার ২১৯ জন, নারী ১০ হাজার ৮৬০ জন।
আর ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪ হাজার ৬৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৩৫ জন, নারী ৫৩৯ জন।
আজ চীনের সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৫১ জন। এর মধ্যে পুরুষ নিয়েছেন ১৩ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৭ জন। নারী ১১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৩৪ জন। সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২২ হাজার ৪৫ জন। তার মধ্যে পুরুষ নেন ১২ হাজার ৮৮৩ জন, নারী ৯ হাজার ১৬২ জন।
মর্ডানা প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭২১ জন। পুরুষ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ১৯ জন, নারী পেয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৭০২ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ কেউ পায়নি।
এর আগে, সকালে সারাদেশে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। সংশোধিত কর্মসূচি অনুযায়ী এবার এক কোটি নয়, ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে। এই কার্যক্রম চলবে ১২ আগস্ট পর্যন্ত। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে এই সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রমের কথা জানান। তিনি বলেন, দেশব্যাপী সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগে দুই দফা কার্যক্রমের কথা ঘোষণা করা হলেও শেষ মুহূর্তে এসে পরিবর্তন করা হয়।
স্বাস্থ্য দফতরের মহাপরিচালক জানান, সম্প্রসারিত টিকা কার্যক্রমের আওতায় ৪ হাজার ৬৪৪টি ইউনিয়ন, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভা এবং ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে টিকা দেয়া হবে। এতে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী ও ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ১৮ বছর নয়, ২৫ বছরের ঊর্ধ্বের জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের অনেকেরই আইডি কার্ড নেই। এতে করে বিশৃঙ্খলা হবে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৮ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। নিবন্ধন করেছেন এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৫ হাজার।