শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
মহামারি করোনা ভাইরাসের টিকা না নিয়ে অফিসে যাওয়ায় তিন কর্মীকে বরখাস্ত করেছে মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন।
৬ আগস্ট শুক্রবার নিজেদের এক প্রতিবেদনে সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোম্পানির নিয়ম লঙ্ঘন করার কারণে তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সিএনএনের প্রধান জেফ জাকার ওইসব কর্মীকে বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে বরখাস্তের তথ্য জানিয়েছেন। চিঠিতে জেফ জাকার ওই তিনজনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, অফিসে আসা বা বাইরে যেকোনো কাজে গেলে, যদি অন্যদের সংস্পর্শে আসতে হয়- তাহলে তাদের টিকা নেওয়া কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী বাধ্যতামূলক।
চিঠিতে জেফ জাকার লিখেছেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, এ নীতিতে আমরা শূন্য পরিমাণ সহনশীলতা দেখাতে চায় না। এদিকে টিকা নেওয়ার প্রসঙ্গে জেফ জাকার বলেন, তাদের নিউজ বিষয়ক সংবাদকর্মীদের মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি কাজে ফিরেছেন। তিনি আরও বলেছেন, টিকা নেওয়ার প্রমাণটা ‘সম্মানজনক ব্যবস্থা’।
এ চিঠির তথ্য নিয়ে প্রথমে এ নিয়ে টুইট করেন সিএনএনের সাংবাদিক অলিভার ডারসি। এদিকে যাদের বরখাস্ত করা হয়েছে তাদের সম্পর্কিত বিষয়ে সিএনএন বিস্তারিত জানায়নি। এছাড়া ওই তিন কর্মী কোথা থেকে কাজ করেন তাও জানা সম্ভব হয়নি।
সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা, ওয়াশিংটন ডিসি এবং লস অ্যানজেলেসের অফিসগুলোতে মুখে মাস্ক পরতে বলা হয়েছে। এছাড়া সিএনএন জানিয়েছে, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব অফিসে উপস্থিতির সিদ্ধান্ত পিছিয়ে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত করা হবে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে গেল ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার (৪ আগস্ট) দেশটিতে এক লাখের বেশি লোকের করোনা পজিটিভ এসেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের টালি বলছে, করোনার টিকা নেওয়া কম হয়েছে এমন এলাকাগুলোতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রে গত সাতদিন ধরে গড়ে ৯৪ হাজার ৮১৯ জন করে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
বুধবার মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, আসছে সপ্তাহগুলোতে দিনে করোনা সংক্রমণ দ্বিগুণ বেড়ে দুই লাখ হয়ে যেতে পারে। যদি অতিমাত্রায় সংক্রমণে সক্ষম আরেকটি ধরন এসে পড়ে, তবে পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে খারাপ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, যারা ভুলভশত টিকা নিতে পারেননি, তারা হয়তো ভেবেছেন, এটা তাদের ব্যাপার। তা কিন্তু না। এটি সবার ব্যাপার।
দেশটির অনেক রাজ্যে টিকাদানের হার বেশি হলেও কোথাও কোথাও টিকা নিতে অনীহাও দেখা যাচ্ছে। ভারমন্টের বাসিন্দাদের ৭৬ শতাংশ এরই মধ্যে টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে নিলেও মিসিসিপির মতো কোনো কোনো রাজ্যে এই হার ৪০ শতাংশেরও কম।