শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

ইন্টারনেট গতির তলানিতে বাংলাদেশ!

করোনা মহামারির মধ্যে কেনাকাটা, সামাজিক যোগাযোগ, দাপ্তরিক কাজকর্ম এমনকি চিকিৎসাসেবা নিতে সাধারণ মানুষের ইন্টারনেট নির্ভরতা বেড়েছে। অথচ বাংলাদেশে সেবার মান পৌঁছেছে তলানিতে।

ইন্টারনেটের গতি নিয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরা প্রতিষ্ঠান ওকলার জুন মাসের সবশেষ প্রতিবেদনে সে তথ্যই উঠে এসেছে।

 
ওকলা বলছে, গেল জুন মাসে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতিতে বিশ্বের ১৩৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৫তম। মে মাসের তুলনায় গেল জুনে বাংলাদেশের অবস্থান আরও এক ধাপ পিছিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান এবং ভেনেজুয়েলার ওপরে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান।
 
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ১২ দশমিক ৪৮ এমবিপিএস। আর আপলোডের গতি ৭ দশমিক ৯৮ এমবিপিএস। প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপ ৪০, নেপাল ১০৫, পাকিস্তান ১১৪, ভারত ১২২, শ্রীলঙ্কা ১২৯, মিয়ানমার ১০৯তম অবস্থানে রয়েছে।
মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি ৫৭ দশমিক শূন্য নয় এমবিপিএস। আর আপলোডের গতি ১৪ দশমিক দুই সাত এমবিপিএস।
 
ওকলার তথ্য বলছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গতির ইন্টারনেট রয়েছে সংযুক্ত আরব-আমিরাতে। ডাউনলোডের গতি ১৯৩ এমবিপিএসের বেশি। এরপরে শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, নরওয়ে ও সাইপ্রাস।
 
মোবাইল ইন্টারনেটের মতো সুখবর নেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও। ওকলার হিসাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে ১৮১টি দেশের মধ্যে ৯৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
 
গেল জুনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে বাংলাদেশ পিছিয়েছে দুই ধাপ। দেশে ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ৩৮ এমবিপিএসের কিছু বেশি। আপলোডের গতি ৩৭ এমবিপিএসের মতো।
 
প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ৭০ তম গতি ৫৮ এমবিপিএস, মালদ্বীপ ১১২ তম গতি ২৮ এমবিপিএস, নেপাল ১১৫তম গতি ২৭ দশমিক তিন পাঁচ এমবিপিএস, শ্রীলঙ্কা ১২৬ তম গতি ২৩ দশমিক আট সাত এমবিপিএস, পাকিস্তান ১৬৪তম গতি ১২ দশমিক ৭৭ এমবিপিএস।
 
ব্রডব্যান্ডে সবচেয়ে বেশি গতি মোনাকোতে, ২৬১ এমবিপিএস। সবচেয়ে কম তুর্কমিনিস্তানে, ৪ দশমিক ৪৯ এমবিপিএস।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০