বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
১৯শে জুলাই, ২০১২ সালের ঠিক এই দিনটিতেই বিদায় নিয়েছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ।
পৃথিবীতে ফিনিক ফোটা জোছনা আসবে।
শ্রাবন মাসে টিনের চালে বৃষ্টির সেতার বাজবে।
সেই অলৌকিক সঙ্গীত শোনার জন্য আমি থাকব না।
কোনো মানে হয়…
তার কথার জাদুতে যেনো তিনি চলে গিয়েও রয়ে গেছেন অগণিত পাঠকের মণিকোঠায়। মৃত্যুর মতো চরম বাস্তবতা মেনে নিতে হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার মতো করে কেউ কি আর গল্প শোনায়? স্বপ্ন দেখায়? তাই হয়তো তার লেখনিতে মুগ্ধ হয়ে প্রজন্মের শত শত তরুণ-তরুণীরা হতে চায় হিমু আর রূপা। আবার মাঝে মধ্যে মিসির আলী হয়ে খুলতে চায় নানা জট!
২০১২ সালে নিউইয়র্কে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই কথা জাদুকর।
জনপ্রিয় সব উপন্যাসে পরিচিতি লাভ করলেও হুমায়ূন আহমেদের শুরু ছিল কবিতা দিয়ে। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই হুমায়ূন আহমেদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। এরপর নাটক, শিশুসাহিত্য, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে শিল্প-সাহিত্যের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবদান রেখেছেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদ এক দিকে সাহিত্য দিয়ে মুগ্ধ করেছেন পাঠকদের, অন্যদিকে নির্মাণ করেছেন অনন্য সব নাটক, চলচ্চিত্র ও গান। তার নির্মিত চলচ্চিত্র গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘শ্যামল ছায়া’ ইত্যাদি। ২০১২ সালে মুক্তি পায় তার পরিচালিত শেষছবি ‘ঘেটুপুত্র কমলা’।
কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ।
মহান এই কীর্তিমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে তার অগণিত ভক্ত-পাঠকেরা। আজো হয়তো তার চিরায়ত-সাবলীল গল্পগুলো অসাধারণ হয়ে ধরা দেয় অসংখ্য পাঠকের হৃদয়ে।