একটি আকুল আবেদন
শামসুদ্দিন হারুন
এই শঙ্কিত শহরেই আমার বসত, শেষ বেলা
এখানেই আমি গেড়েছি ডেরা,
এখানেই আমি আছি মনের মন্বন্তরে, হয়তো
আর কখনোই হবে না ফেরা !
এখানে, এই শহরের শেষ প্রান্তে থাকেন জননী
ওখানে তাঁর পাশেই হবে আমার শয়ন,
কতোটুকু আর পারলাম বলো…জানি না, এই
আমি কতোটাই করতে পেরেছি বয়ন !
আকাশের সব ক’টি নক্ষত্র যখন রাত শেষে
ঘরে ফিরে যায়, জোছনাও যায় আড়ালে,
কী এমন ক্ষতি হয়ে যাবে হে মহান চালক
দুঃসময়ে এইদিকে আবার দু’হাত বাড়ালে।
আমি কি পুণ্য করিনি কোনো ? মানবিক হাত
আমি কি দেইনি বাড়িয়ে সৃষ্টি সাবুদের প্রতি,
আমি কি তোমার বন্দনা করিনি হে মালিক
তাহলে এখনই কেনো টেনে দিতে হবে যতি !
অকৃতি অধমের সবটুকু পাওয়া তুমিই দিয়েছো
তুমিই দিয়েছো ঝড় ঝঞ্ঝায় দুর্ভিক্ষ মন্বন্তরে
এগিয়ে যাওয়ার শক্তি ও সুখ,
আরও একটু না হয় আমাকে দয়া করো প্রভু
দেখে যেতে চাই আমি উত্তরকালের মেঘহীন
আলোকিত ঝলমলে দু’টি মুখ।
ব্যাকুল প্রার্থনা শোনো হে প্রভু, ওদের কপালে
দাও একটি বা দু’টি হীরের পালক,
ক্ষমা করো আমার সাত আসমানের অধিপতি ক্ষমা করো হে আমার প্রতিপালক।