বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের চামড়া খাত। করোনা মহামারির মধ্যেও গেল অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে। তারপরও সামনে অনিশ্চয়তা দেখছেন ট্যানারির মালিকরা।
সামনে বাজারের পরিস্থিতি আরও ভালো হবে। এমন প্রত্যাশায় শুরু হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাত থেকে ১৩১ কোটি ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।
কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ী ও ট্যানারির মালিকরা বলছেন, মহামারির আঘাত এবং দেশে দেশে লকডাউনের কারণে রফতানির বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া বিশ্ববাজারে চামড়ার দামও বাড়েনি। সবমিলিয়ে রফতানির বাজার খুব একটা ভালো নয়। তাই গতবার যে দামে কাঁচা চামড়া কিনেছেন সেই দামে এবারও কিনতে চান ব্যবসায়ীরা। এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দাম নির্ধারণ করতে চায় সরকার।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছর (জুলাই-জুন) শেষে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে আয় হয়েছে ৯৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং এর আগের অর্থবছর থেকে প্রায় ৩১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আয় হয়েছিল ৭৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
এর আগে টানা কয়েক বছর কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে চলে নৈরাজ্য। পানির দামে বিক্রি হয় কাঁচা চামড়া। অনেক জেলায় চামড়া কেনার লোক না পাওয়ায় তা নষ্ট হয়। আবার অনেকে বিক্রি করতে না পেরে মাটিতে পুঁতে ফেলে, নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। ফলে ক্ষতি হয় শত শত কোটি টাকার সম্পদ। ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হন এতিম-মিসকিন ও গরিবরা। কারণ, ইসলামী বিধান অনুযায়ী চামড়া বিক্রির অর্থ গরিবদের মধ্যে বিতরণ করতে হয়। এটা তাদের ‘হক’।
সূত্রঃ ঢাকাপোস্ট