বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালো টাকা বৈধ বা সাদা হয়েছে। প্রায় ১২ হাজার করদাতা কালো টাকা বৈধ করেছেন। দেশের ইতিহাসে এক বছরের এত কালো টাকা আগে কখনও সাদা করা হয়নি।
সব মিলিয়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এই খাতে রাজস্ব পেয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। বুধবার (৭ জুলাই) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জনসংযোগ দফতর গনমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেয়ারবাজার, নগদ টাকা কিংবা জমি-ফ্ল্যাট কিনে সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৮৫৯ জন কালো টাকা সাদা করেছেন। যারা প্রায় ২০ হাজার ৬০০ কোটি অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করেছেন। কালো টাকা সাদা করার তালিকায় আছেন ডাক্তার, সরকারি চাকরিজীবী, তৈরি পোশাক রফতানিকারক, ব্যাংকের স্পন্সর ডিরেক্টর, সোনা ব্যবসায়ীসহ আরও অনেকে। এর মধ্যে শুধু জুন মাসেই এক হাজার ৪৫৫ জন ব্যক্তি ৬১৯ কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন।
কালো টাকা বিনিয়োগকারীর মধ্যে ৭ হাজার ৫৫ জন ব্যাংকে রাখা বিভিন্ন আমানত, এফডিআর, সঞ্চয়পত্র বা নগদ টাকার ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা বৈধ করেছেন। তারা এক হাজার ৬৮৩ কোটি টাকার কর সরকারের কোষাগারে জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকা আইনগতভাবে বৈধ করেছেন।
এ বিষয়ে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণির করদাতারা ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের বৈধতা নিচ্ছেন। অনেক করদাতা তাদের আয়কর রিটার্নে এসব সম্পদের ঘোষণা দেবেন। তাই অনেকে আগে-ভাগেই সুযোগ গ্রহণ করেছেন। আমাদের কর কর্মকর্তারা রিটার্নে তথ্য যাচাই-বাছাই করবেন। ভবিষ্যতে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার হিসাব আরও বাড়বে। কারণ আগামী অর্থ বছরেও এই সুযোগ বিদ্যমান রয়েছে।