শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল। নানা কৌশলে চলছে সিএনজি, মাইক্রোবাস। চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তল্লাশির ঢিলেঢালাভাব থাকায় অবাধে চলছে এসব যানবাহন। সিগন্যালগুলোতে তৈরি হচ্ছে নাতিদীর্ঘ যানজট। কড়াকড়ি অনেকটা শিথিল হওয়ায় সড়কে বেড়েছে মানুষজনের চলাচলও।
রাজধানীর বেশির ভাগ বেসরকারি অফিস খোলা থাকায় বাধ্য হয়ে তারা বের হয়েছেন। রিকশা, ভ্যান কিংবা ব্যক্তিগত প্রাইভেট গাড়িতে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন তারা। অনেকে দীর্ঘপথ পায়ে হেঁটে ভোগান্তি নিয়ে যাচ্ছেন কর্মস্থলে।
রাজধানীর শাহবাগ, বাংলামোটর, পান্থপথ, কাওরানবাজার, প্রগতি সরণি, রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, মতিঝিল, গুলিস্তান, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, প্রায় সবগুলো সড়কেই আগের চারদিনের তুলনায় ব্যক্তিগত যানবাহন, রিকশা ও মানুষের চলাচল বেড়েছে কয়েকগুণ। চেকপোস্টগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন কড়াকড়ি ছিল না। প্রথম দুদিন পুলিশের যে তৎপরতা ছিল সেটা আজ তেমন দেখা যায়নি।
রামপুরা ব্রিজে কথা হয় দীর্ঘক্ষণ যানবাহনের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি চাকরিজীবী সাব্বিরের সঙ্গে। তিনি বলেন, বিগত চারদিনের তুলনায় আজ মানুষের, যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। লকডাউনে মানুষ আর কয়দিন ঘরে থাকবে। তবে অন্যান্যবারের তুলনায় এবারের লকডাউন ভালোভাবে পালিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১লা জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় আরও এক সপ্তাহ লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।