মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ভ্যাকসিন নিয়েও ডেল্টার হাত থেকে নিস্তার নেই

ভারতের করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য চিকিৎসকরা মূলত দায়ী করেছিলেন ডেল্টা স্ট্রেইনকে। কিন্তু সেই ডেল্টা স্ট্রেইন এখন আবার নতুন  করে ভাবিয়ে তুলেছে বিজ্ঞানীদের। কারণ করোনা অতিমারীর আবহে ডেল্টা স্ট্রেইন (B1.617.2) চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে কোন টিকা ডেল্টা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে বেশি কার্যকর তা জানতে সবাই আগ্রহী। এই সময়ে সেরামের তৈরি কোভিশিল্ড নিয়ে একটি সমীক্ষা করল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) একদল বিশেষজ্ঞ। আর সেই সমীক্ষাতেই বেরিয়ে এল যে কোভিশিল্ডের একটি ডোজ নেওয়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ৫৮.১ শতাংশের শরীরেই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। কোভিশিল্ডের দুই ডোজ নেওয়া বহু ব্যক্তির শরীরেই করোনার ডেল্টা স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়নি। দেখা গিয়েছে প্রায় ১৬.১ শতাংশের শরীরে দুটি ডোজ নেওয়ার পরও তৈরি হয়নি অ্যান্টিবডি।

অর্থাৎ ধরে নেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও তাঁদের শরীর ডেল্টা প্রজাতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে না।

এক্ষেত্রে বুস্টার নিতে হতে পারে। দেখা গিয়েছে, ৬৫-র ঊর্ধ্বে এবং কো-মর্বিডিটি রোগীদের শরীরে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে না। তাঁদের বুস্টার টিকা নেওয়ার কথা ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্টে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে প্রথম করোনা

সংক্রমণের ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল বি১ স্ট্রেইন। সেই স্ট্রেইনের উপর এক ডোজ কোভিশিল্ড যতটা কার্যকর, তার থেকে ডেল্টার উপর টিকার কার্যকারিতা ৭৮ শতাংশ কম। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর এই হার ৬৯ শতাংশ। এদিকে ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকলে বি১-এর তুলনায় ডেল্টার উপর কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা ৬৬ (এক ডোজ), ৩৮ (দুই ডোজ) শতাংশ কম। এদিকে ভারত বায়োটেকের করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল শেষ হয়েছে শনিবার। সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, কোভিডের ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ কার্যকরী। উপসর্গহীন করোনা রোগীর ক্ষেত্রে এই টিকা কার্যকরী ৬৩.৬ শতাংশ।

তীব্র উপসর্গযুক্ত রোগীর ক্ষেত্রে ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সমীক্ষার এখনও পর্যন্ত কোনো রিভিউ করা হয়নি। আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে যদি ধরে নেওয়া হয়, সমীক্ষাটি শুধুমাত্র স্বাস্থ্যবান ব্যক্তিদের মধ্যে করা হয়েছিল, তাহলে বলা যেতে পারে, অসুস্থদের তুলনায় সুস্থ মানুষের শরীর অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি থাকে।

সেক্ষেত্রে বৃদ্ধ, অসুস্থ, দীর্ঘদিন রোগেভোগা মানুষ, ডায়াবেটিস রোগীদের তৃতীয় ডোজ দেওয়া জরুরি। এই সমীক্ষা থেকে স্পষ্ট হয়েছে কিছু মানুষের জন্য কোভিশিল্ডের একটি অতিরিক্ত বুস্টার ডোজ লাগতে পারে। অন্যদিকে যাঁরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের একটি মাত্র টিকা দিলেও হবে।

সুত্র :  মানবজমিন

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১