শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরা নিজেদের চেয়ে অন্যের স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি তৈরি করেন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর তারা সবার জন্যই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন। আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টের সৃষ্টি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল সেন্টারের সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডা. উইলিয়াম শ্যাফনার বলেছেন, টিকা না নেওয়া ব্যক্তিরাই করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারখানা। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরই নতুন করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টের একমাত্র উৎস।
তিনি বলেছেন, টিকা না নেওয়া মানুষের সংখ্যা যত বেশি হবে, ভাইরাসের রূপ বদলে ফেলার সুযোগ তত বেশি সৃষ্টি হবে। যখন ভাইরাসের বংশবৃদ্ধি ঘটবে তখন এটি আরও রূপান্তরিত হবে। আর এই রূপান্তরিত নতুন ধরন আগের প্রজাতির তুলনায় আরও বেশি মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সব ধরনের ভাইরাসের রূপান্তর ঘটে এবং করোনাভাইরাসই শুধুমাত্র রূপান্তর ঘটানোর মতো ভাইরাস নয়; বরং অন্যান্য ভাইরাসেরও রূপান্তর ঘটে। এছাড়া করোনাভাইরাস বদলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে আবারও পাল্টে যেতে পারে।
তবে আশার খবর হলো, করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত সব ভ্যারিয়েন্টকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব ভ্যাকসিনই। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলোও যেকোনও মুহূর্তে পরিবর্তিত হতে পারে। যে কারণে চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য কর্মীরা বেশিসংখ্যক মানুষকে টিকার আওতায় আনার জোর প্রচেষ্টার আহ্বান জানাচ্ছেন।