মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

আজ ‘করোনা থেকে মুক্তি’র উৎসব উদ্‌যাপন করবেন বাইডেন

বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্বাধীনতা দিবসে বাইডেন তাঁর দেশকে ‘করোনা থেকে মুক্তির’ উৎসব যতই উদ্‌যাপন করুন না কেন, তাঁর সামনে আছে সংকট ও মাথাব্যথা সৃষ্টি হওয়ার মতো বেশ কিছু বিষয়। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মোকাবিলা করা, বিভক্ত হয়ে পড়া কংগ্রেস এবং প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠা সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সামলানো ইত্যাদি এই বিষয়গুলোর কয়েকটি।

এক বছর আগেও বিশ্বে করোনা মহামারিতে প্রাণহানির শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর গত ছয় মাসে দেশটিতে অনেকটাই করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অর্থনীতির চাকাও হয়েছে সচল। করোনার ব্যাপারে বাইডেনের দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর পূর্বসূরি ট্রাম্পের চেয়ে একেবারেই ভিন্ন। ট্রাম্প সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাস্কের ব্যবহার ও টিকাদান কর্মসূচিকে তেমন পাত্তা দেননি। বিপরীতে এ দুই বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছেন বাইডেন। বিশেষত, গণহারে টিকাদান কর্মসূচিকে অনেকটাই সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

একই সঙ্গে বাইডেন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও করোনায় সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় ১ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঐতিহাসিক ‘আমেরিকান রেসকিউ প্ল্যান’ কংগ্রেসের অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়নে উদ্যোগী হয়েছেন। যদিও তাঁর এসব পদক্ষেপে কিছু এলোমেলো ভাব রয়ে গেছে।

করোনা থেকে দেশকে মুক্ত করতে বাইডেনের অন্যতম লক্ষ্য ছিল পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিদের ৭০ শতাংশকে কাল ৪ জুলাইয়ের মধ্যে করোনার অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার বিষয় নিশ্চিত করা। এই লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জন করতে না পারলেও এর অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছেছেন তিনি। তবে স্বাধীনতা দিবস ও ‘করোনা থেকে মুক্তি’ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে করোনার অতিসংক্রামক ধরন ডেলটা থেকে সৃষ্ট হুমকির বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে, সাউথ লনে ওই উৎসব আয়োজন প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকিকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি টিকা নিয়ে থাকেন, তবে আমরা এই বার্তা দিতে চাই যে আপনি নিরাপদ।’ কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, ২০ জানুয়ারি বাইডেন যখন মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন, তখন তাঁর সামনে বৈশ্বিক করোনা মহামারিই একমাত্র নজিরবিহীন সমস্যা ছিল, এমনটা নয়।

এ প্রসঙ্গে আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ইতিহাসের অধ্যাপক অ্যালান লিচটম্যান বলেন, ১৯৩৩ সালে ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্টের পর বাইডেনই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট, যিনি প্রথম দফা দায়িত্ব নেওয়ার সময়ই এত ভয়ংকর চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁকে একই সঙ্গে করোনা মহামারি ও অর্থনৈতিক সংকট—এ দুই মোকাবিলা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১