উল্লেখ্য, আন্তলেনদেন চালু হলে বিকাশের হিসাবধারী রকেট ও নগদে টাকা পাঠাতে পারবেন। আবার রকেট ও নগদের মতো এমএফএসের হিসাবধারীরা বিকাশে টাকা পাঠাতে পারবেন। এই আন্তলেনদেন গত বছরের অক্টোবরে চালুর কথা ছিল। তবে তা প্রস্তুতির অভাবে পিছিয়েছে। অবশ্য ব্যবস্থাটি চালুর জন্য কাজ চলছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, দেশের মধ্যে যাঁরা ডিজিটাল ব্যবস্থার বিষয়ে তেমন কিছু বোঝেন না, তাঁদের কাছেও ডিজিটাল সেবা পৌঁছে গেছে। এটি একটি মাইলফলক। তিনি বলেন, উপবৃত্তির টাকা এমন মানুষের কাছে যাচ্ছে, যাঁদের এ বিষয়ে জ্ঞান কম। তাঁদের বোঝানোর কাজটি শিক্ষকদের দিয়ে করানো যেত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি। তবে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে। উপবৃত্তির টাকা পাঠানো গেছে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আমাদের প্রতি নির্দেশনা ছিল, আমরা যেন নির্বিঘ্নে সমাজিক নিরাপত্তা ভাতা দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারি। তার জন্য আমরা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মতো প্রযুক্তি গ্রহণ করি, যাতে ঘরে বসেই মানুষ তাঁদের ভাতা পেয়ে যান।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠন বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির বলেন, এমএফএস সেবাকে আরও তরান্বিত করতে আন্তলেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা প্রয়োজন।
নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন না করা গেলে ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক লক্ষ্য অর্জিত হবে না। প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে আর্থিক আওতায় না আনা গেলেও লক্ষ্য পূরণ অসম্ভব হবে। তিনি বলেন, এমএফএসের কারণেই সরকারি ভাতা ব্যবস্থাপনায় বড় পরিবর্তন এসেছে। তালিকায় থাকা ভুয়া গ্রাহকদের বাদ দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের সাবেক মহাসচিব টি আই এম নুরুল কবির বলেন, ভবিষ্যতে সব ধরনের লেনদেন ডিজিটাল হয়ে যাবে। তখন আরও বেশি মানুষকে আর্থিক সেবার আওতায় আনা যাবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার দে। তিনি বলেন, আগে যেখানে মুঠোফোনে ভাতা বিতরণ করতে প্রতি ১ হাজার টাকায় সরকারের ২২ টাকা খরচ হতো, সেটি এখন ৭ টাকায় নেমেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
টিআরএনবির সভাপতি রাশেদ মেহেদী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষার উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক মো. ইউসুফ আলী প্রমুখ বক্তব্য দেন।