শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ এবং গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত মানুষের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন ও হত্যাযজ্ঞের কারণে মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের এই আহ্বানকে বিরল বলছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করায় জান্তা সরকারের নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাস করেছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ। একইসঙ্গে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর সহিংসতা বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের এই প্রস্তাবটি মিয়ানমার মানতে আইনত বাধ্য না হলেও রাজনৈতিকভাবে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন স্ক্র্যানার বার্গেনার সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, ‘মিয়ানমারে ব্যাপকভাবে গৃহযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। যেটা করার আমাদের দ্রুত সেটা করতে হবে। সামরিক বাহিনীকে ক্ষমতা থেকে সরানোর সম্ভাবনা ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে আসছে।’
জাতিসংঘের এই প্রস্তাবে ১১৯টি দেশ সমর্থন দিয়েছে। একমাত্র বেলারুশই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। অন্যদিকে চীন ও রাশিয়াসহ মোট ৩৬টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল। চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র সরবরাহ করে থাকে।