মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪

ফেনীতে স্থানীয়ভাবেই মিটবে কোরবানি পশুর চাহিদা

ফেনীতে স্থানীয় পর্যায়ে প্রস্তুতকৃত গরু, মহিষ ও ছাগলেই মিটবে এবারের কোরবানি পশুর চাহিদা। জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ বলছে জেলায় ৭২ হাজার কোরবানির পশু প্রয়োজন পড়লেও প্রস্তুত রয়েছে ৮০ হাজারের অধিক।




জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, প্রতি বছর ফেনীতে কোরবানির জন্য ৭২ থেকে ৭৫ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ প্রয়োজন পড়ে। দেশে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অনেকেই বসতবাড়ি ও তার আশপাশে বাণিজ্যিকভাবে গরু ও মাহিষের খামার গড়ে তুলেছেন। এতে করে অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার অনেক বেশি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, জেলায় বিভিন্ন গৃহ ও খামারে বর্তমানে বিক্রি যোগ্য ৮০ হাজার ৮৬৫টি গবাদি রয়েছে। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৩২২টি, দাগনভূঞা আট হাজার ৮৩০টি, ছাগলনাইয়ায় ১৮ হাজার ৭২৫টি, সোনাগাজীতে ১৭ হাজার ৫০৫টি, ফুলগাজীতে পাঁচ হাজার ২০৬টি এবং পরশুরাম আট হাজার ২২৭টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

সোনাগাজীর উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের মহিষ খামারি আবুল হোসেন বলেন, তার খামারে এখন ৭৫ টি মহিষ রয়েছে। এগুলো কোরবানির বাজারে বিক্রি করতে তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রতিটি মহিষ ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।

ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের আবদুল ওহাব রিয়াদ ভূঞা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ফেনী শহরে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হওয়ার পর তিনি গ্রামের বাড়িতে গরু খামার গড়ে তোলেন। তার খামারে এখন ২০ টি মোটাতাজাকরণ চলছে। তার খামারের প্রতিটি গরু প্রকারভেদে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।

খামারিরা জানান, বছর জুড়ে বিনিয়োগ করে আমরা কোরবানি পশু প্রস্তুত করি। ঈদের আগ মুহূর্তে ভারতীয় গরু এসে বাজার ভরে যায়। এতে করে গরুর ন্যায্য দাম না পেয়ে খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাশার মধ্যে পড়েন। এবার যাতে ফেনীতে ভারতীয় গুরু অথবা অন্য জেলা থেকে গুরু আনতে না দেয়া হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে অনুরোধ জানান তারা।
ফেনী সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক বলেন, প্রায় এক বছর ধরে দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পেশা পরিবর্তন করেছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ও পশুপালনে নিয়োজিত হয়েছেন। প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়েছে।

ফেনী জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনিসুর রহমান জানান, ফেনীতে ৭২ হাজার পশু কোরবানিতে চাহিদা রয়েছে। সেখানে জেলায় অন্তত ৮০ হাজার গুরু, ছাগল ও মহিষ বিভিন্ন খামারে কোরবানির বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০৩১