বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ঃ বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির মুখে চলতি বছরের এপ্রিল মাসের পাঁচ তারিখ থেকে চলছে লকডাউন বা চলাচলে কঠোর বিধি নিষেধ। সর্বশেষ ১৬ই জুনও লকডাউনের মেয়াদ আরো একমাস বাড়ানো হয়েছে।




কিন্তু লকডাউন স্বত্ত্বেও দেশে অফিস, দোকানপাট এবং গণপরিবহন খোলা রয়েছে।

অনেক অভিভাবকের প্রশ্ন সব খোলা রেখে কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশে ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, অর্থাৎ ১৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকলেরই আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েছে, কিন্তু শিক্ষা খাতের স্থবির অবস্থা দূর করা জন্য এখন ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন ডা. শারমিন ইয়াসমিন বলছেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি কমানোর জন্য নানা ধরণের ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা বিবেচনা করা দরকার সরকারের। তিনি বলেন’ “শিক্ষার্থীদের বয়স বিবেচনা করে তাদের ভ্যাকসিন দেয়ার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোসহ নানা ধরণের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের বেলায় যদি কোভিড হয়েও থাকে, তাদের কোমরবিডিটি থাকলে ঝুঁকিটা বেশি থাকে।

কিন্তু আরেকটু বেশি বয়স যাদের, ভ্যাকসিনের কাভারেজে ১২ বছরের বেশি বয়সের ছেলেমেয়েদের যদি নিয়ে আসা যায় তাহলে সংক্রমণ হলেও তাদের ঝুঁকি কম থাকবে।” এই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মনে করেন, দেশের অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মত এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টিও সরকারকে শক্ত বিবেচনায় নিতে হবে।

বাংলাদেশে এই মূহুর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছুটি আগামী ৩০শে জুন পর্যন্ত ঘোষণা করা আছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে কওমি মাদ্রাসাসহ সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

কিন্তু লকডাউন ১৫ই জুলাই পর্যন্ত বাড়ানোর কারণে ধারণা করা হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ছুটিও বাড়বে।

সুত্র : বিবিসি বাংলা

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫
১৬১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭
৩০