বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
পৃথিবীতে ভয়ানক সব রোগের তালিকায় মানসিক বিকৃতি কিংবা উন্মাদনার স্থান সবার শীর্ষে। মানসিক উন্মাদগ্রস্ত ব্যক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা অত্যন্ত কঠিন। কখনো কখনো আক্রান্ত ব্যক্তির উন্মাদনা এতো বেড়ে যায় যে তার দ্বারা সমাজের অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলমান হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে মানসিক রোগসহ এমন কোনো রোগ নেই যার চিকিৎসা আল্লাহতায়ালা দেননি। অতএব অন্যান্য রোগের মতো করে মানসিক উন্মাদগ্রস্ত তথা পাগলের চিকিৎসা করাও সম্ভব। তাহলে একদিকে যেমন পাগল নিজে তার পাগলামি থেকে রেহাই পাবে পাশাপাশি সমাজের লোকেরাও তার অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।
বেশ কিছু সুন্নাহ ও অন্যান্য ভালো কাজ সম্পাদন করার মাধ্যমে পাগলের মানসিক অবস্থাকে স্থিতিশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা যায়। সেগুলো হলো-
১. নিয়মিত মধু পান করা
ইসলামে মধুকে সব রোগের ওষুধ মনে করা হয়। মধুর প্রাকৃতিক ওষুধি গুণাগুণ শরীরের যাবতীয় বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান বের করে দেয় যা মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে অপরিহার্য। পবিত্র কোরআনে মধুকে শেফা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নবী ঈসা (আ.) ও আইয়ুব (আ.) এই মধু থেকে বিশেষভাবে উপকৃত হয়েছিলেন।
২. আল্লাহর কাছে দোয়া করা
আল্লাহর অনুমতি ছাড়া শুধুমাত্র ওষুধ সেবনের মাধ্যমে কোনো রোগই নিরাময় হয় না। তাই চিকিৎসা গ্রহণের পাশাপাশি যেকোনো রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করার কোনো বিকল্প নেই।
৩. রুকাইয়া করা
রুকাইয়ার পারিভাষিক অর্থ হচ্ছে, কোরআনের আয়াত, আল্লাহর নামের জিকির, হাদিসে রাসুল (সা.) অথবা সালাফে সালেহীন থেকে বর্ণিত দোয়া পাঠ করার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কোনো বিপদ থেকে মুক্তি চাওয়া কিংবা রোগ থেকে আরোগ্য কামনা করা। কখনো কখনো শয়তান মানুষের হৃদয়কে সবধরনের কল্যাণ থেকে বিমুখ করে রাখে। সুতরাং শয়তানের আবিষ্টতা থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কালাম পাঠ করার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
৪. সর্বদা হালাল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করা
আপনি তা-ই যা আপনি খান। সুতরাং অস্বাস্থ্যকর ও হারাম খাবার গ্রহণ করলে এটি নিশ্চিতভাবে আমাদের শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব ফেলবে। মাঝেমধ্যে আমরা এমন অনেককেই দেখি, যারা হারাম খেয়ে দিব্যি সুস্থ আছে; কিন্তু তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলে জানা যাবে, শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও তারা মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত।