মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
কুমিল্লা, ০৭ জুন – সারাদেশে দুই বছরে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১২ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে শুধু টিবি বা যক্ষ্মা রোগেই গত একবছরে মারা গেছেন ২৮ হাজার মানুষ। এ তথ্য জানিয়ে টিবি থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, করোনার চেয়ে টিবিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তাই আতংকিত না হয়ে এই রোগ প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতার বিকল্প নেই। আর বর্তমান সরকার এই রোগের চিকিৎসায় বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ তা প্রতিরোধে সব ব্যবস্থা নিয়েছে। শুধু সঠিকভাবে চিকিৎসা নিলে এবং সচেতন থাকলে টিবি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
সোমবার (৭ জুন) কুমিল্লা বিশ্বরোড ব্র্যাক কার্যালয়ে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের প্রকল্প বাস্তবায়ন সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
টিবি, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া রোগে আক্রান্ত ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক সেমিনারে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য আরও একটি উন্নতমানের পিসিআর মেশিন কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে দেওযা হবে। যেখান থেকে একসঙ্গে ৩০৭টি রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষ জনবল লাগবে। যত তাড়াতাড়ি দক্ষ জনবল নিয়োগ দেওয়া যাবে, তত তাড়াতাড়ি নমুনা পরীক্ষার মেশিনটি দেওয়া যাবে।
সেমিনারে এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার।
সেমিনারে অ্যাওয়ারনেন্স বিষয় পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন, ডিরেক্টর (এমবিডিসি) এবং এলডি (টিবিএল) এবং (এএসপি) প্রফেসর ডা. মো. সামিউল ইসলাম। সেমিনারে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মীর মোবারক হোসাইন, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আবুল কালাম আজাদ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, (টিবি) ব্র্যাক এরিয়া সুপারভাইজার সিনিয়র মোহাম্মদ জাফরুল আলম।
এই সেমিনারে কুমিল্লাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সব জেলার সিভিল সার্জন, বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, এনজিও প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধি, ইমাম ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
এম ইউ/ ০৭ জুন ২০২১