মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজটা অনেক দিন মনে রাখবে আয়ারল্যান্ড। রোমাঞ্চকর এই সিরিজে তিনটি ম্যাচেই জয়ের আশা জাগিয়েছিল আইরিশরা। তবে তিনটি ম্যাচেই জুটেছে পরাজয়।
বিশেষ করে সিরিজের শেষ ম্যাচে খুব কাছ থেকে জয় হাতছাড়া হতে দেখল অ্যান্ডি বালবির্নির দল। যদিও আয়ারল্যান্ডের সাহসী ক্রিকেট কুড়িয়ে নিচ্ছে ভূয়সী প্রশংসা।
ডাবলিনে নিয়মরক্ষার ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬০ রানের পাহাড় জড়ো করে কিউইরা। দলের পক্ষে শতক হাঁকান ওপেনার মার্টিন গাপটিল।
এত কাছে, তবু এত দূরে! ব্লেয়ার টিকনারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটা যখন ব্যাটে-বলে হলো না গ্রাহাম হিউমের, তখন আইরিশ ড্রেসিং রুমের হতাশ অভিব্যক্তিটা যেন বলে দিচ্ছিল তা-ই। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩৬০ রানের চ্যালেঞ্জটা যে জেতা হয়নি ২ রানের জন্য, হারতে হয়েছে ১ রানে; আক্ষেপে না পোড়াটাই তো আয়ারল্যান্ডের জন্য অস্বাভাবিক!
আইরিশদের আক্ষেপটা আরও বাড়বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের স্কোরলাইনটা দেখলে। পরিসংখ্যান বলবে সিরিজটা আইরিশরা হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে, কিন্তু ফলাফল একটু এদিক ওদিক হলে হোয়াইটওয়াশ হওয়া দলটা হতে পারত নিউজিল্যান্ডও; সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই যে স্বাগতিকদের তরী ডুবেছে তীরে এসে!
শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। প্রথম বলে কোনো রান নিতে পারেননি অভিষিক্ত গ্রাহাম হিউম। দ্বিতীয় বলে আসে একটি সিঙ্গেল। ব্লেয়ার টিকনারের তৃতীয় বলে উইল ইয়াংয়ের ক্যাচ ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমাতে পারেননি গ্লেন ফিলিপস। উল্টো হয় বাউন্ডারি। পরের বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন ইয়াং। এরপর আর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি আইরিশরা।
নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল আয়ারল্যান্ড, ২০২০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। স্টার্লিংয়ের ১০৩ বলে ১২০ রান ও টেক্টরের ১০৬ বলে ১০৮ রানের ইনিংসে সেই রেকর্ড ভাঙার আশা জাগায় তারা। শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হলো না।