হয়রানি আর ভোগান্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ) - Pallibarta.com

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হয়রানি আর ভোগান্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)

হয়রানি আর ভোগান্তি প্রতিষ্ঠানের নাম রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)

হুমায়ুন কবীর, রাজশাহীঃ
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (আরডিএ)। আরডিএ’র মূলত রাজশাহী সিটি কর্পোরেশসহ কয়েকটি দপ্তর নিয়ে নগর পকিল্পনা করে। নগর পরিকল্পনার মুল চাবিকাটি বলা হয় আরডিএকে। কিন্তু এই আরডিএ’র সেবার মান নিয়ে বরারবই প্রশ্ন দেখা দেয়। নগরায়নের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম বা আইন তৈরি হলেও এর বাস্তবতা দেখা যায় না।

বিশেষ করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা ও অথরাইজড শাখা কাজ করলেও এ দুই শাখায় ভোগান্তির শেষ নেই। বিশেষ করে নগর পরিকল্পনা শাখায় এনওসি (নন অবজেকশন সাটির্ফিকেট) যেনো সোনার হরিণ। যা সহজে সবার ভাগ্যে জোটে না। আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা অথরাইজড শাখার সেবার মান নিয়ে দীর্ঘদিন প্রশ্ন উঠলেও দৃশ্যমান সমাধানের পথ নেই।

জানা গেছে, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মানতে হয়। এজন্য প্রথমেই যেতে হয় আরডিএ’র নগর পরিকল্পনা শাখায়। এই শাখা থেকে প্রথমে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী এনওসি নিতে হয়। এনওসি পাওয়া যায় দুই ভাবে। সাধারণ ও জরুরীভাবে। সাধারণ ভাবে এনওসি নিতে গেলে গ্রাহককে ৩০দিন অপেক্ষা করতে হয়, আর জরুরীভাবে নিতে গেলে ১৫দিন। সাধারণ ও জরুরী সেবার জন্য গ্রাহককে দিতে হয় আলাদা আলাদা ফি।

কিন্তু বাস্তবে জরুরী সেবা বা সাধারণ সেবার কোনো পর্থক্য দেখা যায় না। সাধারণ সেবাতেও একজন গ্রাহককে এনওসি পেতে মাসের পর মাস ঘুরতে হয়, জরুরী সেবাতেও অবস্থা একই। তবে দুটি সেবার পরও দেখা যায় বিশেষ সেবায় দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে এনওসি পাওয়া যায়। গ্রাহকরা বলছেন, একটি এনওসি নিতে সর্বোচ্চ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ করার পরও দীর্ঘ সময় লাগে এনওসি পেতে। কখনো ছুটি থাকলে আবার কাজ বন্ধ। বলা যায়, এই শাখার একজন কর্মচারি অফিসে অনুপস্থিত বা ছুটিতে থাকলে পুরো শাখার কাজ বন্ধ থাকে। কারণ একে অপরের সাথে সম্পর্ক যুক্ত হলো আরডিএ’র এ শাখা। তবে এ শাখার বড় কর্তা ছাড়া বাকি কর্মচারিদের ছুটি বা অনুপস্থিতির হার অনেক কম। এখন প্রশ্ন হলো, জরুরী ভাবে ফ্রি দিয়ে যদি গ্রাহককে দীর্ঘদিন পর এনওসি দেয়া হয়, তাহলে কেন জরুরী ফ্রি নেয়া হয়? প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, এমনিতেই আরডিএ’র লোকবল কম। তার উপর পরিকল্পনা বিভাগের শাখা প্রধান কিভাবে প্রতি মাসে ছুটি কাটান। উধ্বর্তন কর্মকর্তরাই বা কিভাবে তাকে ছুটি দেন? বিষয়টি জানার জন্য গত রোববার দুপুরে নগর পরিকল্পনা শাখার প্রধান আজেমরি আশরাফী দপ্তরে যাওয়া হয়। তার সাথে সাক্ষাত করতে চাইলে অনুমোতি মেলেনি। বাইরের কর্মচারিরা বলেন, সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে চেয়ারম্যানের নিষেধ আছে। যার কারণে তিনি দেখাও করবেন না, কথাও বলবেন না। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এছাড়াও নগরীতে নির্মানাধীন বহুতল ভবনগুলো অনুমোদিত নিয়মানুসারে হচ্ছে কি না সেটাও তদারকি হয় না ঠিকমতো।

বিষয়টি নিয়ে আরডিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলতে তার দপ্তরে গেলেও ঘটে একই ঘটনা। চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করার জন্য গেলে সেখানে দায়িত্বরত কর্মচারি জানান, চেয়ারম্যান স্যার মিটিংয়ে আছেন। পরে যোগাযোগ করেন। পরে রোববার দুপুর ২টার পর চেয়ারম্যান জিয়াউল হকের মোবাইলে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০