সুবর্ণচরে মাদ্রাসায় ভর্তি ধন্ধে শিশুর লাশ দাপনে বাঁধার অভিযোগ - Pallibarta.com

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সুবর্ণচরে মাদ্রাসায় ভর্তি ধন্ধে শিশুর লাশ দাপনে বাঁধার অভিযোগ

সুবর্ণচরে মাদ্রাসায় ভর্তি ধন্ধে শিশুর লাশ দাপনে বাঁধার অভিযোগ

মোঃ ইমাম উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী সুবর্ণচরে মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর ধন্ধে প্রতিবন্ধী অসুস্থ্য শিশুর লাশ দাপনে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে, লাশ দাপন করা হলেও ঐ মাদাসার কমিটির সভাপতি সাধারন সম্পাদকসহ একাধিক ব্যক্তি ভুক্তভোগী পরিবার ও মাদ্রাসা কমিটির পরিচালককে প্রাণনাশ,সমাজ থেকে বের করা দেয়াসহ নানান হুমকি ধমকি দেয়ায় চরজব্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ঘটনাটি ঘটে ২১ ফেব্রুয়ারী বু্ধবার সুবর্ণচর উপজেলার চর আমান উল্যাহ ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে।

অভিযোগ পেয়ে সরজমিনে গেলে ভুক্তভোগী চর নাঙ্গলিয়া গ্রামের ইদ্রিসের পুত্র আব্দুল খালেক বলেন, ২০১৭ সালে কামাল বাজারের পশ্চিম পাশে দারুল সুন্নাহ নূরানী মাদ্রাসায় নামক একটি দ্বিনী শিক্ষ প্রতিষ্ঠান চালু করেন সে থেকে নোয়া পাড়া গ্রাম এবং চর নাঙ্গলিয়া গ্রামের শিশুরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে শিক্ষার আলো পায়। গত দু বছর আগে একই বাজারের পূর্ব পাশে তালি’মূল সুন্নাহ নূরাণী মাদ্রাসা নামের আরেকটি নূরানী মাদ্রাসা চালু করা হয়। মাদ্রাসাটি শুরু পর থেকে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি নয়া পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র আবুল বাসার মানিক (৬৫), মৃত সাহাব উদ্দিনের পুত্র মোঃ মানিক (৩৭) চর নাঙ্গলিয়া গ্রামের মজিবুল হকের পুত্র সোহেল (৩২), মোঃ কালাম (৪৫), পিতা অজ্ঞাতসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্ধাদের শিশুদেরকে দারুল সুন্নাহ মাদ্রাসা থেকে নিয়ে তালি’মূল সুন্নাহ নূরাণী মাদ্রাসা ভর্তি করার জন্য জন্য নানা ভাবে চাপ সৃস্টি করে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল খালেক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে একাধিকবার জানিয়েছেন তবে কোন সরাহা হয়নি।

ঘটনার দিন ২১ ফেব্রুয়ারী বুধবার নয়া পাড়া গ্রামের মহিনের প্রতিবন্ধী মেয়ে সুলতানা (৬) দির্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পর মৃত্যু বরণ করে। সুলতানার মামা ও আব্দুল খালেক কামাল বাজারে অবস্থিত জামে মসজিদের পাশে কবরস্থানে লাশ দাপনের জন্য অভিযুক্ত সভাপতি আবুল বাসার মানিক এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ মানিকের কাছে যান তারা চাপ জানিয়ে দেন যারা দারুল সুন্নাহ মাদ্রাসায় পড়ে তাদের পরিবারের কাউকে কবরের জায়গা দেয়া হবেনা বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারসহ গণ্যমান্যদের জানানো হলে দুপুর দুইটায় পূনরায় সুলতানার মামা মিরাজ আবারো তাদের সাথে দেখা করেন তারা ঐ পরিবারের সকল শিশু তাদের মাদ্রাসায় ভর্তি হতে হবে মর্মে লাশ দাপনে শর্ত জুড়ে দেন। এমন খবরে ক্ষোভে ফুঁসে উঠে এলাকাবাসী খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেম্বারসহ এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে মসজিদের পাশে শিশুর লাশ দাপন করেন। অভিযুক্তরা ঘটনাস্থলে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের ওপর চওড়াও হন।

মৃত সুলতানার মা বকুল আক্তার কেঁদে কেঁদে বলেন মাদ্রাসার সভাপতি সাধারন সম্পাদক দির্ঘদিন ধরে তাদের নতুন মাদ্রাসায় ভর্তি করারনোর জন্য নানা রকম হুমকি ধমকি ও চাপ সৃস্টি কনে আসছেন, তার মৃত শিশুর লাশ দাপনেও বাঁধা দেয় তারা।

চর আমান উল্যাহ ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে বলেন, আমি লাশ দাপনের বাঁধার অভিযোগ শুনেছি, এটা অমানুবিক আমি দুরে আছি ঘটনা শুনার পর আমি ভুক্তভোগী পরিবারকে মসজিদের পাশে মৃত শিশুর লাশ দাপন করতে বলেছি, যারা নিষেধ করেছে তারা অমানুষিক কাজ করেছে।

অভিযুক্ত মাদ্রাসার সভাপতি আবু্ল বাসার বলেন, আমরা মাটি দিতে নিষেধ করিনি যেহেতু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাশা পাশি হয়েছে সবাই সহযোগিতা করলে ভালো হয় সেজন্যই আমরা সমাজিরা সিদ্ধান্ত করেছি যারা এ মাদ্রাসায় পড়বে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

অভিযুক্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ মানিক বলেন, তারা এলাকায় থাকেনা, বাচ্চার মা বাবা থাকে চট্রগ্রাম, অসুস্থ্য যে বাচ্চা মারা গেছে সে বাচ্চাকে ১৫/ ২০ দিন আগে এলাকায় এসেছে অন্য জায়গার লাশ আমার এখানে কেন মাটি দিবে। আমরা তাদেকে বলেছি আপনারা আগে সমাজে আসেন।

চরজব্বর থানার এসআই আনিসুজ্জামান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

আরো পড়ুন ...

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০